Courier Service Fraud:বিখ্যাত কুরিয়ার সার্ভিস সংস্থার নথি জাল করে লক্ষাধিক টাকার 'প্রতারণা', মূল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধৃত আরও ১
One Arrested From Bidhannagar:বিখ্যাত কুরিয়ার সার্ভিস সংস্তার নথি জাল করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার ১।
রণজিৎ সাউ, বিধাননগর: বিখ্যাত কুরিয়ার সার্ভিস সংস্থার (Bidhannagar Courier Service Fraud) নথি জাল করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার ১। সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যতম আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Bidhannagar Cyber Crime)।
কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ অগাস্ট একটি সুপরিচিত কুরিয়ার সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার অনুনয় মজুমদার বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। অনুনয় জানান, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাদের রিজিওনাল অফিস রয়েছে। সেখানের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অপারেশন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন শুভাশিস গুপ্ত। তাঁকে বেশ কিছু জেলার ক্লাস্টার ইন চার্জ-ও করা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিই ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সংস্থার মেল আইডি এবং উচ্চপদস্ত অধিকারিকদের সই জাল করে সংস্থার থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন।
তদন্ত শুরু করে কলকাতার বাঘাযতীন এলাকা থেকে গত ৫ অক্টোবর মূল অভিযুক্ত শুভাশিস গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উঠে আসে আরও এক ব্যক্তির নাম। পুলিশের দাবি, এই দ্বিতীয় ব্যক্তি শুভাশিসকে প্রতারণায় সরাসরি সাহায্য করত। সেই সূত্র ধরেই গত কাল বাঁশদ্রোণী এলাকায় হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত শুভঙ্কর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ৩টি ডেবিট কার্ড, একটি ক্রেডিট কার্ড, একটি মোবাইল ফোন এবং ওই কুরিয়ার সংস্থার টারমিনেশন লেটার উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানাবে বলে সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ধরনের ঘটনা একেবারে অজানা নয়। গত মার্চেই যেমন, ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ জানাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের এক মহিলা। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার হন প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ তিনজন। উদ্ধার ২০০টি কম্পিউটার, ৪০টি মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ডসহ অসংখ্য নথি। জানা যায়, ক্রেডিট কার্ড অ্যাকটিভ করার নামে ২৫ হাজার টাকা! অভিযোগ জানাবেন কোথায়? সার্চ ইঞ্জিন ঘেঁটে যে ওয়েবসাইট পাওয়া গেল, অভিযোগ- সেখানেও প্রতারণার জাল পাতা ছিল! এক প্রতারণার অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফের প্রতারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের এক মহিলা।
আরও পড়ুন:লিস্টিংয়েই দুরন্ত লাভ, প্লাজা ওয়্যারসের শেয়ার বাড়ল ৫৬ শতাংশ