North 24 Parganas:নারী পাচারের অভিযোগে অতীতেও গ্রেফতার, ফের পেট্রাপোল থানার পুলিশের হাতে ধৃত ১ ব্যক্তি
Women Trafficking: নারী পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পেট্রাপোল থানার পুলিশ। ধৃতের নাম অসীম পাল ওরফে আবদুল্লা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নারী পাচারের (Woman Trafficking) অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পেট্রাপোল থানার পুলিশ (Petrapole Police Arrests 1)। ধৃতের নাম অসীম পাল ওরফে আবদুল্লা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে, ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আগেও পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ হয়েছিল। তাতে জিআরপি (GRP) তাঁকে গ্রেফতারও করে। সম্ভবত আন্তঃরাজ্য নারীপাচার চক্রে জড়িত সে।
কী জানা গেল?
গত কাল অর্থাৎ ১৭ আগস্ট, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল থানায় এক সমাজকর্মী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে বলা হয়েছিল, পেট্রাপোল থানা এলাকার হরিদাসপুরে গত ১৬ই আগস্ট একটি অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন। সমাজকর্মীর দাবি, সেই সময় সে তখন কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে অসুস্থ মেয়েটিকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন সাধারণ মানুষ। ওই ব্যক্তি নারীপাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশকে আবেদন জানানো হয়।
এর পরই, গত কাল রাতে বাগদা থেকে অসীম পাল ওরফে আবদুল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, ওই ব্যক্তিকে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেই জিআরপি গ্রেফতার করেছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সে আন্তঃরাজ্য নারীপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত । ধৃতকে আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে পেট্রাপোল থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মেয়েটি এখনও চিকিৎসাধীন।
এর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিহারে নাচের কাজে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নারী পাচারের চক্রান্তের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে এক মহিলা-সহ চারজনকে। নারী পাচারের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে উঠে আসে, আমতলির একাধিক মহিলাকে বিহারে নাচের কাজে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করছিল রাকেশ তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি। বিনিময়ে মোটা টাকা দেওয়ার প্রলোভনও দেয় সে। লকডাউনের বাজারে একসঙ্গে এতগুলো টাকা পাওয়ার প্রস্তাব পেয়েও স্ত্রীকে ভিন রাজ্যে পাঠাতে চাননি এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়। রাকেশের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি গোটা বিষয়টা জানান সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশকে। নারী পাচারের ঘটনার আঁচ পেয়ে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে রাকেশ তিওয়ারিকে। তার কথায় বিস্তর অসঙ্গতি পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ আটক করে তাকে। পাশাপাশি ধৃত রাকেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তার দলবলের কথাও জানতে পারে।
আরও পড়ুন:হয়তো আপনার নামেই ব্যাঙ্কে জমে মোটা টাকা! এবার এক ক্লিকেই খোঁজ