North 24 Parganas: দেগঙ্গায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম তোলার লাইনে দাঁড়ানো মহিলাদের হাতে হাতে ৫০০ টাকা, বিতর্কে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তোলার লাইন দিতে গিয়ে হাতে-হাতে লক্ষ্মীলাভ
সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়। এ আস্ত লক্ষ্মীর ভাঁড়। তাতেই ৫০০ টাকা করে গুঁজে দিচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান।
ভাবছেন, সবে লাইন দিয়ে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম তুলেছেন। সেই ফর্ম ফিল আপ করে জমা দিতে হবে। নথি খতিয়ে দেখে তবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
কিন্তু, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতে লক্ষ্মীর ভাঁড় হাতে মহিলারা দাঁড়িয়ে আছে, তৃণমূল নেতা ৫০০ টাকা করে দিয়ে দিচ্ছে।
লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ৫০০ টাকা করে দিচ্ছেন যিনি, তাঁর নাম হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। তৃণমূল পরিচালিত চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান। এক স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফৰ্ম ফিলাপ করেছি, উনি আমাদের টাকা দিয়েছেন।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের কাণ্ডকারখানা সামনে আসতেই, এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সদস্য তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান ৫০০ টাকা করে দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করছেন। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি, এই টাকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কোথায় পেলেন তার তদন্ত হওয়া উচিত, নিয়ম না মেনে এভাবে টাকা দেওয়া যায় নাকি?
যথারীতি এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রকল্প সরকারের। অথচ শাসকদলেরই নেতা সরকারি অর্থ বরাদ্দ হওয়ার আগে, নিজের গাঁটের কড়ি এভাবে খরচ করছেন কেন?
পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, নিজের টাকা দিয়ে মানুষকে দিয়ে উৎসাহিত করতে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে এই টাকা দিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছি। এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই, মানুষকে প্রভাবিত করার প্রশ্ন নেই।
তবে তৃণমূল নেতা যাই যুক্তি দিন না কেন, তাঁর দলের অন্দরেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি মফিজুল হক সাহাজি বলেন, এটা না করলেই পারত, ও নিজের আত্মীয়দের দিয়েছে অতি উৎসাহী হয়ে, বিজেপি সবেতেই রাজনীতি খোঁজে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীকে।