Madhyamgram Blast: 'টার্গেট' প্রেমিকার স্বামী, মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণে এবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব
North 24 Parganas: টার্গেট ছিলেন প্রেমিকার স্বামী। পাশাপাশি, মধ্যমগ্রামে বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও কোনও কারণ খতিয়ে রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম: মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব। পুলিশের দাবি, মধ্যমগ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সচ্চিদানন্দ মিশ্রর। টার্গেট ছিলেন প্রেমিকার স্বামী।
গত পরশু মাঝরাতে মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের সামনে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বারাসাত মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম যুবকের। মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্র উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার বাসিন্দা। ITI পাস সচ্চিদানন্দ ডিভাইস বানানোর কাজে দক্ষ। তাঁর ব্যাগে ডিভাইস ছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, ডিভাইস নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের দাবি, ৩ মাস আগেও মধ্যমগ্রামে এসেছিলেন সচ্চিদানন্দ। সম্ভবত রবিবার গভীর রাতে মধ্যমগ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। টার্গেট ছিলেন প্রেমিকার স্বামী। পাশাপাশি, মধ্যমগ্রামে বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও কোনও কারণ খতিয়ে রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হরিয়ানায় একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন বছর পঁচিশের যুবক মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্র। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবার দাবি করে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না সচ্চিদানন্দ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে কালো টেপ, তার, চার্জার ও একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। রবিবার রাত ১২.৫৭-নাগাদ মধ্যমগ্রাম হাইস্কুল থেকে মেরেকেটে ১০০ মিটার দূরে রবীন্দ্র মঞ্চের চত্বরে আচমকা বিকট শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় স্কুলের নোটিস বোর্ডের কাচ। ওই সময় রবীন্দ্র মঞ্চের সামনে একটি বেঞ্চে বসেছিলেন সচ্চিদানন্দ মিশ্র। বিস্ফোরণে তাঁর বাম হাত ও পেটের অনেকটা অংশ গুরুতরভাবে জখম হয়। রাতে অস্ত্রোপচারের পর সোমবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যুবকের। বিস্ফোরণের পর গতকাল ঘটনাস্থলে পৌছয় NIA। নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।
অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের সামনে, মধ্যমগ্রাম উড়ালপুলের নীচে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই এলাকার এক ফল ব্যবসায়ী অরূপ পাল বলেন, "উনি এখানে এক টোটোওয়ালাকে বলছিলেন যে চৌমাথা যাবেন। মোটামুটি ব্যাগ ছিল দুটো মতো। কালো রঙের মতো ব্যাগ ছিল। পিঠ ব্যাগ টাইপের। উনি সামলে সামলে যাচ্ছিলেন। একটা পিঠে, একটা হাতে আর কী নিতে একটু কষ্ট হচ্ছিল এইটুকু আমি দেখতে পাচ্ছিলাম। উনি ওই রেলিংগুলোর সাইডে, হাতটা পুরো উড়ে গেছে।'' গতকাল এলাকায় যান খাদ্যমন্ত্রী ও মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ এবং মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ।





















