North Dinajpur News: 'ড্রাগন' ফলিয়ে কৃষকদের 'আইকন' উত্তর দিনাজপুরের অজিত মাহাতো
Dragon-Farming Leads To Fame: উত্তর দিনাজপুরের জমিতে পাহাড়ি ফল ফলিয়ে 'আইকন' হয়ে উঠেছেন অজিত মাহাতো। এক, দুটো নয়। দশ রকম উপকারিতা এই ফলের। নিজের জমিতে সেই ফল ফলিয়েই অসাধ্যসাধন অজিতের।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ পরগনা: ড্রাগনের (dragon) হাত ধরে 'আইকন' (icon) অজিত মাহাতো।
ভাবছেন তো, কে এই অজিত? হঠাৎ করে কী ভাবেই আইকন হলেন তিনি?উত্তর খুঁজতে যেতে হবে উত্তর দিনাজপুরের (north dinazpur) করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের কুইতো গ্রামে। আপাত অখ্যাত এই গ্রামেই থাকেন তিনি। এত দিন পর্যন্ত হয়তো কেউই তাঁকে চিনতেন না। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত ফল চাষ করে আপাতত 'আইকন' হয়ে উঠেছেন অজিত মাহাতো। ফলের নাম? ড্রাগন।
কী কাজে লাগে ফল?
একটা-দুটো নয়। থাইরয়েড-সহ ১০ রকম অসুস্থতায় কাজে লাগে এই ফল। নিজের বসতভিটে লাগোয়া মাত্র এক বিঘে জমিতে সেই ফলই চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অজিত। তাঁর অসাধ্য সাধনের জন্যই ওই এলাকা এখন দর্শনীয় স্থান। বিষয়টি দেখতে বহু দূর থেকে আসা মানুষ নিয়মিত ভিড় জমান। ওই অঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষ খুব প্রচলিত নয়। কিন্তু ফলটির উপকারিতার জন্য তার চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
কী রকম এই ড্রাগন?
অনেকটা বড়সড় পদ্মের মতো দেখতে ফলটা। গায়ের রং গোলাপি, শরীরে সুদৃশ্য পাপড়ি রয়েছে। অজিত জানালেন, এটি চাষ করে সারা বছর সাত বছর শস্য তোলেন। বিক্রি করেন দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জ এবং ডালখোলা মার্কেটে। তাতে দিব্যি সংসার চলে যায় তাঁর। করণদিঘি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নীতীশ তামাং জানালেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি আগেই অবহিত রয়েছেন। শুধু তাই নয়। বছরখানেক আগেই তিনি যে অজিত মাহাতোর চাষের এলাকাটি দেখে এসেছেন সেটাও জানালেন। উদ্য়োগটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কিছু সাহায্যও করা হয়েছে, জানালেন নীতীশ।
ফল? উৎসাহ বাড়ছে বাকিদের মধ্য়েও। এ ড্রাগন আগুনের হল্কায় সব পোড়ায় না কিনা!
আরও পড়ুন:ছিনতাই শ্যামবাজারে ! মহিলাকে পিস্তল দেখিয়ে গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতী