Paray Sikkhalay: শুরু হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয়, জায়গা খুঁজে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন কাউন্সিলররা
Paray Sikkhalay: জায়গা খুঁজে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন কাউন্সিলররা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যানাল ইস্ট রোডে তৈরি হচ্ছে মুক্তমঞ্চ। পাটুলির মাঠেও বসবে স্কুল
কলকাতা: ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত শুরু হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Sikkhalay)। জায়গা খুঁজে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন কাউন্সিলররা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যানাল ইস্ট রোডে তৈরি হচ্ছে মুক্তমঞ্চ। পাটুলির মাঠেও বসবে স্কুল।
করোনাকালে (Covid19) রাজ্য সরকারের (West Bengal) নতুন প্রকল্প পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Sikkhalay) শুরু হতে চলেছে ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রায়গঞ্জে (Raiganj) খুদেদের খোলা জায়গায় ক্লাস নেওয়া শুরু করলেন শিক্ষকরা। এদিকে, পাড়ায় শিক্ষালয় চালু নিয়ে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করলেন উলুবেড়িয়ার মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শুরু হচ্ছে। খুলছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ও। কিন্তু, ছোটদের স্কুল বন্ধ প্রায় ২ বছর ধরে। ছোটদের অনেকেই অনলাইনে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ নামে নতুন প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে শুরু হয়ে গেল পাড়ায় শিক্ষালয়। ক্লাস নিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা।
খুদে পড়ুয়াদের বইখাতা নিয়ে হুটোপুটি ছুটোছুটি উচ্ছ্বাস আর আনন্দ। অনেক দিন বাদে যেন ছোটদের চেনা ছবি ধরা পড়ল স্টেশন কলোনি এলাকায়। দুবছর পর ক্লাস হওয়ায় খুশি ছাত্ররা। রায়গঞ্জের শিক্ষক গৌরাঙ্গ হাসান বলেন, '৭ তারিখ হওয়ার কথা। তার আগে এই কার্যক্রম শুরু করলাম।‘ শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এক অভিভাবক প্রিয়ঙ্কা দত্তের কথায়, “শিশুরা এতদিন বাদে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পেয়েছে। এতে শিশুমনে এতদিনের ক্লান্তি দূর হল।‘
এ দিকে, পাড়ায় শিক্ষালয় চালু হওয়ার আগে উলুবেড়িয়ার মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে ক্লাস শুরু করা যায় সেই নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষকরা। মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত বলেন, “স্কুলে পড়াশোনা না হওয়ার কারণে স্কুলে ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়ছে। নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে না থাকার কারণে ছাত্রদের অধিকাংশই পড়াশোনা করার অভ্যেস হারিয়ে ফেলেছে। অনেকের মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে।‘’