Partha Chatterjee: 'হৃদয়ে নাম লিখলে, তা রয়ে যাবে', নাকতলার পুজোয় নাম নেই, মনখারাপ পার্থর?
Naktala Udayan Sangha: পুজোর ব্যানার থেকেও উধাও তাঁর নাম। এই বছর থেকে নাকতলার পুজোর চিফ অ্যাডভাইসর হলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কলকাতা: অত্যন্ত দক্ষ পুজো সংগঠক অরূপ, আলিপুর কোর্টে পেশের সময় এমনটাই বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন তিনি আরও বলেন, তবে হৃদয়ে নাম লিখলে, তা রয়ে যাবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারির পরেই নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোয় ব্রাত্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পুজোর ব্যানার থেকেও উধাও তাঁর নাম। এই বছর থেকে নাকতলার পুজোর চিফ অ্যাডভাইসর হলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি (Durga Puja 2023) শুরু হয়ে গেছে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে। পুজোর এবার ৩৮ তম বর্ষ। তাদের থিম হৃদয়পুর। তাই কি আজ এমন মন্তব্য করলেন তিনি? তাহলে কি মন খারাপ হল প্রাক্তন উদ্যোক্তার? অন্যদিক থেকে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, নাকতলার হৃদয়পুর থেকে কি এবার পাকাপাকিভাবে বিদায় নিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়?
গত মাসের শেষের দিকেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) পাড়ার পুজোর প্রস্তুতিতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। তাহলে কি দায়িত্ব হাতবদল হল? এমন জল্পনা শুরু হয়েছিল তখনই। যদিও জল্পনা উড়িয়ে বললেন তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন ১৭ বছর পর ডাক পেয়ে এসেছি।
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের (Naktala Udayan Sangha) পুজো বরাবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারির পর দল তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন একদা নম্বর টু। বাদ পড়েছেন মন্ত্রিসভা থেকেও! হাতে থাকা দফতরের দায়িত্ব গেছে অন্য়দের হাতে। সেই সঙ্গে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোতেও যেন ব্রাত্য তিনি।
একসময়ে যিনি ছিলেন সর্বময় কর্তা, আজ পুজোর ব্যানার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তাঁর নাম। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাড়ার ক্লাবে চিফ অ্য়াডভাইসর করা হয়েছে টালিগঞ্জের বিধায়ক ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। সবমিলিয়ে সাধের সংগঠনেক কোথাও তাঁর নামের চিহ্নমাত্র নেই। তাই আজ কার্যত আবেগপ্রবণ হয়েই এমন মন্তব্য করলেন নাকতলার প্রাক্তন উদ্যোক্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, আজও ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় কোর্ট। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি জানিয়েছf জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। 'অধ্যাপকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ করার সিদ্ধান্ত সরকারের। অবসরের বয়স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের, আমার নয়, অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল'। এসএসসি কর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে দাবি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সিবিআইয়ের।