(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Partha Chatterjee Update: কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হোক, অন্যথায় কঠোর পদক্ষেপ, তৃণমূলে সংঘাত থামাতে এ বার হুঁশিয়ারি পার্থর
Partha Chatterjee Update: এর আগে, শুক্রবারও দলের নেতাদের সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্থ। তাঁরা প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করায়, দল এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে জানান।
কলকাতা: পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই ছোট-বড় সব নেতাকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কাজ হওয়া তো দূর, বরং পরস্পরের প্রিত কটাক্ষ, বাক্যবাণ বেড়েই চলেছে। তাতে এ বার নির্দেশ অমান্যকারী নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। জানিয়ে দিলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কোনো মন্তব্য বরদাস্ত করবেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ করতে হবে সকলকে। অন্যথায় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ে বিরোধীরাও যখন কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন, সেই সময় শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘‘কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে প্রকাশ্যে একের পর এক মন্তব্য করা হচ্ছে, তা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। কারও কোনও বক্তব্য থাকলে দলের মধ্যে বলুন। যাঁরা দলের আদর্শে বিশ্বাসী, তাঁরা এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। মহাসচিব হিসেবে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তার পরেও কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ, সমস্ত মন্তব্য, বিবৃতি এখনই বন্ধ করুন। আজই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে ছিলাম। নির্দেশ না মানলে কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
এর আগে, শুক্রবারও দলের নেতাদের সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্থ। তাঁরা প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করায়, দল এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে জানান। কিন্তু তার পরেও বাক্যবাণ বন্ধ হয়নি। ফেসবুকে শিরদাঁড়ার ফারাক বোঝাতে নামেন কল্যাণ। আবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকেই কল্যাণকে হটানোর দাবি জানান। শ্রীরামপুরের জন্য নতুন সাংসদ চেয়ে বসেন।
আরও পড়ুন: Arjun Singh on TMC: দলে কদর নেই কল্যাণের, শীঘ্রই বার করে দেওয়া হতে পারে, দাবি অর্জুনের
প্রকাশ্য়ে তৃণমূল নেতাদের এমন আচরণে কটাক্ষ উড়ে আসে বিরোধী শিবির থেকেও। দলের কল্যাণের মতো অভিজ্ঞ নেতাদের গুরুত্ব কমছে, যে কোনও দিন তাঁকে দল থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। অভিষেককে নেতা হিসেবে মানতে দলের একাংশের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিজেপি-র অনুপম হাজরাও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূলের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই পরিস্থিতিতে শনিবার তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক বসে। সেই বৈঠক শেষেই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন পার্থ।
করোনা পরিস্থিতিতে অন্তত দু’মাসের জন্য় সমস্ত রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখার পক্ষে সম্প্রতি সওয়াল করেন অভিষেক। বকেয়া পুরভোট এবং গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্য যখন আদালতে নিজের পক্ষ রাখার চেষ্টা করছে, সেই সময় অভিষেকের এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি কল্যাণ। বিরোধী শিবিরের সঙ্গে অভিষেকের সুর মিলে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, অভিষেক নন, একমাত্র মমতাকেই নেতা বলে মানেন তিনি। তাতেই অভিষেকপন্থীদের রোষে পড়েন কল্যাণ। শুরু হয় প্রকাশ্যে কটাক্ষ এবং বাদানুবাদ। এ নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এ বার হস্তক্ষেপ করতে হল শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিকে।