Paschim Medinipur: বীজধান 'দুর্নীতি', উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের
Seed Scam: দ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল, কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়।

অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: কৃষকদের জন্য রাখা বীজধান নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত এক পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের বিরুদ্ধে। কোনও গ্রামবাসী নন, এই অভিযোগ যিনি করেছেন তিনি ওই পঞ্চায়েতেরই প্রধান। এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর তরজা।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ:
কৃষকদের জন্য সরকারের তরফেই বিলি করা হয় বীজধান। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের কুনাপুর ৪ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও সেই বীজধান এসেছে। কিন্তু সেগুলো নাকি নিয়মমাফিক কৃষকদের কাছে পৌঁছয়নি। প্রধানের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের অফিস থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বীজধান। শুধু মৌখিক অভিযোগই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও ইমেল-এর মাধ্যমে এই অভিযোগ করা হয়েছে প্রধানের তরফে। নারায়ণগড়ের কুনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রঞ্জিত সাহু বলেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে গত শুক্রবার জোর করে আমাদের পার্টির লোক মিনিকেট তুলে নিয়ে গেছে। এই কাজ উপপ্রধানের নেতৃত্বে হয়েছে।' সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন উপপ্রধান। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। উপপ্রধান শুকলাল হাঁসদা বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যে। এবারের যে সমস্ত মিনিকেট সরকারি অনুদানে এসেছিল। আমাকে না জানিয়ে মিনিকেট বিলি করে দেন, অথচ এলাকার মানুষজনই সেসব পাচ্ছেন না। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানকে আমরা চাইছি না। তিনি একক সিদ্ধান্তে কাজ করেন।'
তৃণমূলের দাবি:
বীজধান বিলি নিয়ে দলের দুই নেতার মধ্যেই এমন দ্বন্দ্বে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও এমন ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নারায়ণগড় ব্লকের সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, 'গোষ্ঠীর কোনও ব্যাপার নেই। এটা বড় করে ভাবা হচ্ছে, বড় করে দেখা হচ্ছে। দুই জন দুটো তালিকা প্রস্তুত করেছেন। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা গিয়ে উপযুক্ত তালিকা তৈরি করলে কৃষকদের হাতে বীজ বিলি করা হবে। বিজেপি পঞ্চায়েত চালায় না, মানুষের জন্য কিছু করে না তাই ওদের কথার গুরত্ব দিতে নারাজ।'
বিজেপির কটাক্ষ:
যদিও এমন ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেছেন, 'সারা রাজ্যে প্রত্যেকটা জায়গায় তৃণমূলের প্রধান এবং উপপ্রধানের ঝগড়ার ফলে বাসিন্দারা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুর্নীতি করার জন্য অঞ্চল প্রধানকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্টি অফিসে সরকারি অনুদান নিয়ে গিয়ে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।'
কী বলছে প্রশাসন:
নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও জানিয়েছে, কৃষি দফতরকে বীজধান লুঠের অভিযোগ খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাবারে ডিম নেই কেন ? আচমকাই আসানসোলের স্কুলে অগ্নিমিত্রা






















