PM Modi: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের আগেই রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, সভা করতে পারেন দমদমে
PM Modi Will May Come In Bengal : ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়েই করতে পারেন সভা, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আরও কী কী সম্ভাবনা ?

দীপক ঘোষ, কলকাতা: জুলাই মাসেই ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জুলাই দমদমে সভা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের আগে ১৮ জুলাই হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর সভা। নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়েই করতে পারেন সভা। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সময় কলকাতা আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, আগামী ১৮ জুলাই, অর্থাৎ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসবেন। এখান থেকে তার বিহার যাওয়ার কথা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য নের্তৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল দিল্লি থেকে। সেখানে যেটা জানানো হয়েছে যে, বিমানবন্দরের আশেপাশে একটা সভা তিনি করতে চান। সড়কপথে সভা সেরে, আার তিনি বিহার চলে যাবেন। সেই অনুযায়ী রাজ্য নের্তৃত্বের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, জনসভা করা হবে আঘামী ১৮ তারিখ দমদমে। দুটো মাঠ পছন্দ হয়েছে তাঁদের। যেকোনও একটা মাঠ চূড়ান্ত করা হবে। যেটা তাৎপর্যপূর্ণ, ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি রয়েছে। আর ২১ জুলাইয়ের দুদিন আগে, রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি আরও একটা খবর যেটা রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকবার কলকাতায় আশার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যে দমদম বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে, উদ্ধোধন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দফায় দফায় পিছিয়ে গিয়েছে। এবার সেই নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর মেট্রোরেলের উদ্ধোধন তিনি করবেন কিনা, এবিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
২১ জুলাই তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে, এটাই তৃণমূলের শেষ একুশে জুলাই। তার তিন দিন আগে দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সভার পরিকল্পনা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে ২৯ মে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে হিংসা, অরাজকতা, নারী নিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং গরিবের অধিকার হরণ, এই পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন তৃণমূলকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন,'আজ বাংলা একসঙ্গে একাধিক সঙ্কটে। প্রথম সঙ্কট, সমাজে হিংসা ও অরাজকতা। দ্বিতীয় সঙ্কট, মা-বোনেদের নিরাপত্তাহীনতা, তাদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা জঘন্য অপরাধ। তৃতীয় সঙ্কট, তরুণ সমাজের মধ্যে বাড়তে থাকা বেকারত্ব ও হতাশা। চতুর্থ সঙ্কট, দুর্নীতির। এখানে সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস কমছে। পঞ্চম সঙ্কট, গরিবের হক ছিনিয়ে নেওয়ার শাসকদলের স্বার্থের রাজনীতি।এবার নরেন্দ্র মোদির অস্ত্র কী হতে চলেছে? নরেন্দ্র মোদির সভা এবং তৃণমূলের একুশে জুলাই, পরপর কর্মসূচি ঘিরে কতটা চড়বে রাজ্য় রাজনীতির পারদ? সেদিকেই নজর সকলের।






















