East Midnapore: প্রধান শিক্ষককে শোকজের নির্দেশ ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দকুমারে, গ্রেফতার ৭
Nandakumar Chaos: অভিযোগ, ৫০ জন পড়ুয়া মিড ডে মিলখেলেও, স্কুলের পোর্টালে সংখ্যাটা দেখানো হয়েছে ৩৫০। অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার জন্য, জেলার স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন বিডিও।
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কারচুপির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে (Principal) শোকজের নির্দেশ ঘিরে গন্ডগোলের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্রসমেত হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ উঠছিল কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়ে। ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজের নির্দেশ ঘিরে গতকাল ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিক্ষোভকারীরা, এক এনভিএফ কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
প্রধান শিক্ষককে শোকজের নির্দেশ ঘিরে ধুন্ধুমার: অভিযোগ, ৫০ জন পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খেলেও, স্কুলের পোর্টালে (Portal) সংখ্যাটা দেখানো হয়েছে ৩৫০। অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষককে (Principal) শোকজ করার জন্য, জেলার স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন বিডিও। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তাতে সামিল হন কয়েকজন অভিভাবকও। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের সামনে রাখা কয়েকটি মোটরবাইকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। গ্রামের অলিগলিতে ঢুকে লাঠি চালায় পুলিশ। এদিনের ঘটনার জন্য একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষা কর্মী।
গতকাল ওই স্কুলের শিক্ষাকর্মী শুকদেব মাইতি বলেন, “আমি আটকে ছিলাম বলে, আমার দুই মেয়ে আসে। আজকের যা ঘটনা ঘটেছে, তা প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনেই হয়েছে।’’ পাল্টা প্রধান শিক্ষক নিতাইচাঁদ প্রামাণিকের দাবি, “মিড ডে মিলের যে গন্ডগোল হয়েছিল, তার জন্য আজ মিটিং ছিল। সেই সময় ছাত্রছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ল, তারপরই এই ঘটনা ঘটেছে। শুকদেব মাইতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ গতকাল নন্দকুমারের বিডিও (BDO) শানু বক্সি বলেন, “স্কুলে যাঁরা পড়তে আসে, তাদের উত্তক্ত করা হয়েছে। কে বা কারা গোটা ঘটনায় দোষী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ওই যে এক্সপ্যানডিচার চাওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে, ছাত্রদের কাছেও ভুল বার্তা গেছে, সেই বার্তার মাধ্যমেই উত্তক্ত হয়ে ওঠে। কে বা কারা করেছে, সেটাই তদন্তের বিষয়।’’
আরও পড়ুন: Birbhum News: বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় বিপত্তি, ভেসে গেল ফেরিঘাটের রাস্তা