Primary Recruitment Scam: 'সন্ধের পরেও দৌড়ান, কখনও আবার শুয়ে পড়েন, কেন?' বিচারকের প্রশ্নের মুখে CBI
Kolkata News: শুক্রবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেও বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়লেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারী অফিসার।

কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার পর, এবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল CBI। অভিযুক্তদের আইনজীবীকে তথ্যপ্রমাণের নথি না দেওয়ায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারী অফিসারকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করলেন বিচারক।
ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ল CBI. আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার, রাজ্য সরকারের অনুমোদনের কথা না জানানোয় CBI-এর তদন্তকারী অফিসার মণীশ উপাধ্যায়কে শোকজ করেছিলেন বিশেষ CBI আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা। আর শুক্রবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেও বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়লেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারী অফিসার। এদিন শুনানি চলাকালীন, অভিযুক্তদের আইনজীবীরা অভিযোগ তোলেন, ডিসেম্বরে চার্জশিট জমা পড়েছে, কিন্তু তাঁদেরকে এখনও CBI তথ্যপ্রমাণের নথি দেয়নি। সেই মুহূর্তে CBI-এর তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না। পরে আদালতে আসেন তিনি।
তখন তাঁর কাছে বিচারক শুভেন্দু সাহা জানতে চান, কেন অভিযুক্তপক্ষকে তথ্যপ্রমাণের নথি দেওয়া হয়নি? খামবন্ধ সিল অবস্থায় ডিজিটাল এভিডেন্স আছে। সেগুলি দিতে আপনার কতদিন সময় লাগবে? উত্তরে CBI-এর তরফে (তদন্তকারী অফিসার) জানানো হয়, এক সপ্তাহ সময় লাগবে। পাল্টা বিচারক বলেন, ১৫ দিন আগে ১ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। এখন বলছেন আরও এক সপ্তাহ। বন্ধ সিল আপনি খোলেননি কেন? এগুলো কি আমি করে দেব? তখন CBI-এর তদন্তকারী অফিসার বলেন, এগুলো সবার সামনে খুলতে হবে। নাহলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠতে পারে। এরপরই CBI-কে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারক বলেন, অভিযোগ এমনিও করতে পারে। কখনও আপনাদের দৌড়ের শেষ নেই, সন্ধের পরেও দৌড়ান, কখনও আবার শুয়ে পড়েন, কেন? এদিন আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু', অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়রা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দিনকয়েক আগে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হতে পারছেন না বলে দাবি করে, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপরই সিবিআই-এর বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, আরএন টেগোরে চিকিৎসা করাতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তবে নিজের খরচে এবং নিজের ঝুঁকিতে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতেই অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তাঁকে আর এন টেগোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: WB Medical Council: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ, পদত্যাগ করলেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার






















