Manik Bhattacharya : "একটু ব্যবস্থা করে দিন, বাড়ি যেতে চাই", ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে কাতর আবেদন মানিকের !
Manik Bhattacharya appeals to Traffic Sergeant : অভিযোগ, ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা : "আমাকে একটু ব্যবস্থা করে দিন, বাড়ি যেতে চাই।" সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে কাতর আবেদন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। সাংবাদিকদের চাঁচাছোলা প্রশ্ন এড়িয়ে শেষমেশ গাড়িতে করে বেরিয়েও যান নদিয়ার (Nadia) পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।
আদালতের নির্দেশে গতকাল সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দু’জনেই নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান।
কী অভিযোগ ?
প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তারপর পরেশ অধিকারী, আর এবার মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক তৃণমূল বিধায়ককে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হল। ২০১৪’র প্রাথমিক টেট মামলায় সোমবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। সেই মতো বিকেলে নির্ধারিত সময়ের আগে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দফতরে পৌঁছে যান দু’জনে।
অভিযোগ, ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই দু’জনের থেকে তদন্তকারীরা জানতে চান, কার নির্দেশে ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল ? শুধু ২৬৯ জনকেই কেন ১ নম্বর করে বাড়ানো হল ? নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিল ? সরকারি ফাইলে তার কোনও তথ্য আছে কি না।
এদিন রাত পৌনে নটা নাগাদ সিবিআই অফিস থেকে বেরোন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর, রাত নটা নাগাদ, বেরোন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর পর পরই সাংবাদিক প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। ২৬৯টা বেআইনি নিয়োগ নিয়ে কতটা জানতেন বলে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে ? যদিও এপ্রশ্নের এর উত্তর দেননি তিনি। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, কিছু জানেন না উনি, সংসদে কথা বলবেন। এরপর কার্যত আড়াল করে মানিকবাবুকে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু, সাংবাদিকরা ফের তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকায় আইনজীবী তখন বলেন, রাস্তায় হেনস্থা করবেন না। প্লিজ প্লিজ। এরপরই ট্রাফিক সার্জেন্টের দিকে দ্রুত হেঁটে এগিয়ে যান পর্ষদ সভাপতি । তাঁর কাছে আবেদন করেন, "আমাকে একটু ব্যবস্থা করে দিন, বাড়ি যেতে চাই।" এর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি গাড়ি চলে আসে। যাতে চড়ে আইনজীবীকে নিয়ে রওনা দেন মানিকবাবু।