Priyanka Tibrewal : ভবানীপুরে ৭০ শতাংশ ভোট পড়লে আমিই জিতব, প্রচারে বেরিয়ে দাবি প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি।
ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা : ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল আজ সকালে গোপালনগর মোড় থেকে শুরু করলেন প্রচার। বৃষ্টির ভ্রুকুটির মধ্যেই তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কলকাতা পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন। গতকালই ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন পেশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সারেন তিনি। প্রায় দুয়ারে গিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন, আমি এই মাটির কন্যা। শুধু মা, মাটি, মানুষের কথা মুখে বললে হয় না। মানুষের পাশে থাকতে হবে। প্রিয়ঙ্কার কটাক্ষ, যে সরকার মায়ের কোল খালি করে দেয়, তারা মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়াবে ! '
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে প্রিয়ঙ্কার মুখে বারবার ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, যে দল ক্ষমতায় এসেই এত মায়ের কোল খালি করে দেয়, তারা আবার মানুষের পাশে কী করে দাঁড়াবে ? বিজেপির আইনজীবী প্রার্থী ঘুরছেন দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু কিন্তু কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন ভোটারদের থেকে ? প্রিয়ঙ্কার জবাব, ' সে তো ভটবাক্সেই বোঝা যাবে। তবে, ৭০ শতাংশ ভোট ঠিকঠাক পরলে আমিই জিতব। '
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার উত্তর দেওয়ার দিন ৩০ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন :
Priyanka Tibrewal : তিরিশের মহারণের আগেই ভাইকে হারালেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, পোস্ট করে জানালেন নিজেই
নামে উপনির্বাচন। কিন্তু, উত্তাপ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এটুকু কম নয়। কারণ কেন্দ্রের নাম - ভবানীপুর। আর তৃণমূল প্রার্থীর নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন। সোমবার একটি কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে, ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে গাড়ি থেকে নেমে, ছোট্ট করে জনসংযোগও সেরে নেন তিনি। হোমগ্রাউন্ডে তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যাপারে পুরোদস্তুর আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। সোমবার মনোনয়ন পেশ করেন ভবানীপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল।
দলীয় প্রার্থীর জয়ের দাবি করতে গিয়ে, বিজেপি টানছে, বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক পরিসংখ্যানকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, এই আটটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে, তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেওয়ার আশায় কোমর বাঁধছে বিজেপি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিগত ভোটগুলিতে ভবানীপুরে বিজেপির ভোট বাড়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক। কৌশলগতভাবে এবার এই কেন্দ্রে, বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে সুব্রত বক্সি জিতেছিলেন ৪৯ হাজার ৯০৬ ভোটে। উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে করেন ৫৪ হাজার ২১৩।
এবার কী হবে? উত্তর জানা যাবে তেসরা অক্টোবর।