(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Purba Bardhaman News: ‘ভোটের লাড্ডু, খেলেও পস্তাতে হয়, না খেলেও’, বিজয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলরের মিষ্টি বিলিকে ঘিরে তিক্ততা
Purba Bardhaman News: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman News) কাটোয়া (Katwa News) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। সদ্য সমাপ্ত পুরসভা নির্বাচনে সেখানে জয়া হয়েছেন কংগ্রেসের রিম্পা মণ্ডল।
রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরে রেখেছেন তিনি। সেই খুশিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের লাড্ডু (Laddu Distribution) খাওয়ালেন নব নির্বাচিত কাউন্সিলর। কিন্তু তা নিয়েই তরজা শুরু হয়েছে। ছাপ্পাভোটে জিতে এসে ওই তিনি জনগণকে লাড্ডু খাইয়ে বোকা বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল (TMC)। বিজেপি-র (BJP) গলাতেও একই সুর। এখন লাড্ডু বিলি করে পরে কাটমানি তুলবেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পদ্মশিবিরের। যদিও তা কানে তুলতে নারাজ বিজয়ী প্রার্থী।
পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman News) কাটোয়া (Katwa News) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। সদ্য সমাপ্ত পুরসভা নির্বাচনে সেখানে জয়া হয়েছেন কংগ্রেসের রিম্পা মণ্ডল। কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়ে তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তাই লাড্ডু নিয়ে বেরিয়ে পড়েন নিজের ওয়ার্ডে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাড্ডু বিলি করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। বলেন, ‘‘নমস্কার, আমি কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছি। আপনারাই আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমরা যেন সব সময় স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিষেবা দিতে পারি আপনাদের।’’
পুরভোটে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও হাতের পাঞ্জার জোর দেখাতে পেরেছেন রিম্পা। তাই নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মিষ্টিমুখ করানোয় অনেকেই গলদ দেখছেন না। স্থানীয় মানুষরাও হাসিমুখেই লাড্ডু গ্রহণ করেন তাঁর হাত থেকে। রিম্পা তাঁদের বলেন, ‘‘আপনারা পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা যেন ঠিক ভাবে পরিষেবা দিতে পারি।’’
আরও পড়ুন: Bus Driver Death : যাত্রী তোলা নিয়ে বচসা, বারাসাতে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু অপর বাসের চালকের
২০ ওয়ার্ডের কাটোয়া পুরসভায় তৃণমূল একাই জিতেছে ১৫টি আসন। ৪টিতে ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। একটি আসনে জয়ী হয়েছে নির্দল। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী অনিতা রায় দে-কে প্রায় দেড় হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের রিম্পা মণ্ডল।তবে নব নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলরের লাড্ডু বিলিকে কটাক্ষ করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর বাবা তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাসুদেব রায়। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ছাপ্পা ভোট দিয়ে জিতেছে। সঠিক ভাবে ভোট হলে কংগ্রেসকে আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিষ্টি দিতে হত না। ভোটের দিন সকাল থেকে কাটোয়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস তৃণমূলের এজেন্টদের তুলে দিয়ে ছাপ্পা দিয়েছে ওরা।’’
অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা জবাব কংগ্রেস কাউন্সিলরও। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও রকম ছাপ্পাভোট হয়নি। কাটমানির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন।’’
বিজেপি-র সঞ্জয় ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস লাড্ডু বিলি করে তার পর কাটমানি খাবে। আর তৃণমূল জিতলে কাটমানির টাকায় নিজেরা লাড্ডু খেত। ভোটের লাড্ডু জো খায়া ওহ পস্তায়া, জো নেহি খায়া ওভি পস্তায়া।’’
অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা জবাব কংগ্রেস কাউন্সিলরও। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও রকম ছাপ্পাভোট হয়নি। কাটমানির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন।’’ তবে লাড্ডু বিলিকে ঘিরে এহেন রাজনীতির তেতো তরজায় তিতি বিরক্ত সাধারণ মানুষ।