![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Purba Bardhaman:অকেজো দুই হাত, বাধার 'দুর্গম গিরি' পেরিয়ে মাধ্যমিক পাশ মেমারির জগন্নাথ মান্ডির
Madhyamik Examination: দু'টি হাতের কোনটিই সে অর্থে কাজ করার মতো অবস্থায় নেই। তা সত্ত্বেও স্রেফ অদম্য মনের জোরে মাধ্যমিকে ২৫৮ নম্বর পেয়ে পাশ করল মেমারির জগন্নাথ মান্ডি।
![Purba Bardhaman:অকেজো দুই হাত, বাধার 'দুর্গম গিরি' পেরিয়ে মাধ্যমিক পাশ মেমারির জগন্নাথ মান্ডির A Story Of Victory Differently Abled Student Of Memari Passed Madhyamik Examination Thwarting All The Odds Purba Bardhaman:অকেজো দুই হাত, বাধার 'দুর্গম গিরি' পেরিয়ে মাধ্যমিক পাশ মেমারির জগন্নাথ মান্ডির](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/05/21/e3d6d858a7faee57f50f11c87b1da67b1684633988937482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: দু'টি হাতের কোনটিই সে অর্থে কাজ করার মতো অবস্থায় নেই। তা সত্ত্বেও স্রেফ অদম্য মনের জোরে মাধ্যমিকে (Madhyamik Result 2023) ২৫৮ নম্বর পেয়ে পাশ করল মেমারির (Memari) জগন্নাথ মান্ডি। তার হার না মানা লড়াইকে কুর্নিশ করছে পরিজন থেকে পাড়া-পড়শি সকলেই।
জগন্নাথের কথা...
মেমারির নুদিপুর বিএস বিদ্যামন্দিরের ছাত্র জগন্নাথ আদতে সিমলা আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা। তুমুল প্রতিকূলতা নিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। সে অর্থে আদিবাসীপাড়া থেকে একমাত্র সে-ই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। কিন্তু তার দুটি হাতের কোনওটিই কাজ করে না। হাতের বদলে পা দিয়েই লেখালেখি করতে হয় জগন্নাথকে। কী ভাবে জীবনের প্রথম পরীক্ষার বেড়া ডিঙোবে সে? ফলপ্রকাশ হতেই দেখা গেল, সমস্ত আশঙ্কা মাটি করে সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে জগন্নাথ। বাংলায় ৩১,ইংরেজিতে ২৫, অঙ্কে ৩৫, পদার্থবিজ্ঞানে ৪২, জীবনবিজ্ঞানে ৪১, ইতিহাসে ৩৮ এবং ভূগোলে ৪৬ নম্বর পেয়েছে সে। ফলাফল নিয়ে খুশি কিশোর। তার কথায়, ''আমার মত যারা, তারা যেন ভালো করে পড়াশুনা করে, এটাই চাই। পড়াশোনা চালিয়ে যায়।'' বড় হয়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে জগন্নাথ। শিক্ষক হয়ে তার মতো পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে চায়।
বাধা ছিল আরও...
বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরের জীবনে প্রতিকূলতা ছিল আরও। তার লেখাপড়ায় অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল আর্থিক অবস্থা। জমি-জায়গা নেই। বাবা ও মা, তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন আগেই। সম্বল বলতে নবতিপর ঠাকুমা। তাঁর কাছেই থাকেন কিশোর। এক দাদা রয়েছেন। তিনি কাজের সূত্রে অন্যত্র থাকেন। ভাইয়ের জন্য সামান্য কিছু খরচপত্র তিনিই পাঠান। সেই টাকা দিয়েই কায়ক্লেশে লেখাপড়া করেছে কিশোর। সব মিলিয়ে প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যে লেখাপড়া করে মাধ্যমিক দিতে হয়েছিল জগন্নাথকে। মাধ্যমিকে তার সিট পড়েছিল বাগিলা পূর্ণচন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে। ফলাফল প্রকাশের পর সে খুশি। মুখে হাসি ফুটেছে জগন্নাথের স্কুলের শিক্ষকদেরও। কিন্তু এর পর কী হবে? মনের জোর সত্ত্বেও কি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিশোর? কে জোগাবে লেখাপড়ার খরচ? জগন্নাথের স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, তাকে সবরকমের সহায়তা করতে প্রস্তুত তাঁরা। তাঁদের আশা, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে কিশোর। লক্ষ্যে পৌঁছবে, শিক্ষকতা করবে। অনুপ্রেরণা জোগাবে আরও বহু পড়ুয়াকে, যারা তার মতো বিশেষভাবে সক্ষম।
আরও পড়ুন:বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম ! একটি কাপের দামে কেনা যাবে গাড়ি
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)