Durga Puja 2023:রুপোর ঘটে জল ভরে পুজোর ঢাকে কাঠি বর্ধমানে, এখানে দেবী পূজিতা সর্বমঙ্গলা রূপে
Sarbamangla Puja: এবারও নিয়মের ব্যতিক্রম হল না। মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ঘটে জল ভরার সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল বর্ধমানের দুর্গাপুজো।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: নিয়ম অনুযায়ী, মহালয়ার পর দিন অর্থাৎ প্রতিপদে রুপোর ঘটে কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরে তা ঘোড়ার গাড়িতে করে মন্দিরে আনা হয়। গোটা পথটা বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজে মঙ্গলবার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। হয় শোভাযাত্রাও। এবারও নিয়মের ব্যতিক্রম হল না। মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরের (Bardhaman Sarbamangla Puja 2023) ঘটে জল ভরার সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল বর্ধমানের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)।
কী হল?
রাজ আমলের প্রথা মেনে, রবিবার, প্রতিপদে, বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বর্ধমানে আনুষ্ঠানিকভাবে শারদ উৎসবের সূচনা হল। এদিন ঘট উত্তোলন উপলক্ষ্যে ভক্তরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ,বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাস-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও তাতে যোগ দেন। এর পর এক্কাগাড়ি করে কৃষ্ণসায়রের চাঁদনী ঘাট থেকে ঘটে জল ভরা হয়। সেই ঘটই মায়ের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ইতিহাস...
শোনা যায়, ১৭০২ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে চুনুরীদের কাছে থাকা দামোদর নদের পার থেকে দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তি উদ্ধার করেন বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচাঁদ। তার পর এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী মা সর্বমঙ্গলা। এখন মন্দিরে ঢুকতে গেলে দেখা যাবে, প্রবেশ পথে তিনটি স্তরে পোড়া মাটির মূর্তি রয়েছে। মুল মন্দিরের সামনে নাট মন্দির। দক্ষিনের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকে দু'ধারে দুটি শিব মন্দির রয়েছে। প্রতি বছর চিরাচরিত প্রথা মেনে মহালয়ার পরে প্রতিপদে দেবীর ঘট তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভক্তসমাগমের মধ্যে, শোভাযাত্রা সহকারে, ঢাক, ব্যাণ্ড বাজিয়ে এক্কা গাড়িতে করে গিয়ে কৃষ্ণসায়র থেকে রুপোর ঘটে জল পুড়ে দেবীর ঘট প্রতিষ্টা করা হয়। এবারও তাই হয়েছে।
এর পর, আগামী ৯ দিন ধরে চলবে মায়ের পুজো। সঙ্গে চণ্ডীপাঠ। নবমীর দিন নবকুমারী পুজোর মাধ্যমে দেবী-আরাধনা শেষ হয়। তবে শুধু যে বছরের এই সময়টিই দেবীর পুজো নয়, তা নয়। বছরের প্রতিদিনই নিয়ম মেনে দেবী সর্বমঙ্গলার পুজা চলে। দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। এখানে দেবীমূর্তি কষ্টিপাথরের। অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী। রুপোর সিংহাসনে আসীন তিনি। অতীতে,সন্ধিপুজোয় কামান দাগার রীতি ছিল। মেষ, মহিষ ও ছাগ বলিও হত। তবে এখন আর সে সব হয় না। কিন্তু তাতে কী? আনন্দের ঐতিহ্যে ভাটা পড়েনি একটুও। সর্বমঙ্গলা পুজো ঘিরে আজও একই রকম আনন্দে মাতোয়ারা বর্ধমান বাসী। এদিনও সকাল থেকেই মহিলারা নতুন পোশাকে হাজির সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে।
আরও পড়ুন:রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী 'ঘনিষ্ঠ' ব্যবসায়ী বাকিবুরের হোটেলের হদিশ