Burdwan : মা-কে খুনের পর ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে দুই বছর বসবাস ! গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক
মায়ের ঘন ঘন বেড়াতে যাওয়া পছন্দ ছিল না। সেই কারণে মা-কে খুনের পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে দুই বছর সেই ঘরেই বসবাস করছিল 'গুণধর' ছেলে।
কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান(পূর্ব বর্ধমান) : মায়ের ঘন ঘন বেড়াতে যাওয়া পছন্দ ছিল না। সেই কারণে মা-কে খুনের পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে দুই বছর সেই ঘরেই বসবাস করছিল 'গুণধর' ছেলে। এই অভিযোগে আজ অভিযুক্ত ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। ধৃতের নাম নয়ন আলি শেখ। মৃতার নাম সুকরানা বিবি(৫৮)। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ খুনের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। বর্ধমান থানার হটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেলপাড় এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য বর্ধমান আদালতের দ্বারস্থ পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুকরানা বিবি তাঁর ছোট ছেলে শেখ নয়ন আলির সঙ্গে থাকতেন। সুকরানা বিবি খুব বেড়াতে ভালোবাসতেন। মাঝেমধ্যেই তিনি বেড়াতে বেরিয়ে পড়তেন। হঠাৎই ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুকরানা বিবি। খোঁজ না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সুকরানার বড় ছেলে শেখ কিসমত আলি বর্ধমান থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মায়ের বেড়াতে যাওয়া পছন্দ ছিল না অভিযুক্ত ছেলের। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও মা তা শোনেননি।
আরও পড়ুন ; শহরে ফের নৃশংস মৃত্যু, গলার নলি কেটে খুন প্রৌঢ়কে
গতকাল নয়নের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মনোমালিন্য মেটাতে দাদা কিসমত আলি হস্তক্ষেপ করেন। তিনি এড়ুয়ারে গিয়ে নয়নের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। আর তখনই নয়নের স্ত্রী তাঁকে জানান, নয়ন তাঁর মা সুকরানা বিবিকে মেরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখেছে। রাতে বাড়ি ফিরে আসেন কিসমত আলি। এরপর মঙ্গলবার সকালে তিনি ভাই নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিসমত আলি প্রতিবেশীদেরও ডাকেন। সকলের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে নয়ন স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করে, সে-ই মাকে মেরে ফেলেছে। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এর পর খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়। অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগেই মায়ের মাথায় মুগুর মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করে নয়ন।
আরও পড়ুন ; মাসতুতো ভাইয়ের হাতেই খুন মা-ছেলে, পর্ণশ্রীকাণ্ডের কিনারা লালবাজারের
মায়ের ঘন ঘন বেড়াতে যাওয়া পছন্দ হচ্ছিল না ছোট ছেলের। তাই মা-কে বেড়াতে যেতে নিষেধ করেছিল সে। এর জের মা ও ছেলের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। অভিযোগ, সেই সময় ঘরে রাখা মুগুর দিয়ে প্রথমে মায়ের মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। রাতেই ঘরের মেঝে খুঁড়ে মায়ের মৃতদেহ পুঁতে ফেলে সে।