Sukanta Majumdar: 'ইডি-সিবিআই বলছে, আয় খেলা করি , কেউ হাত ধরছে না', চাকরি ইস্যুতে তোপ সুকান্তর
Sukanta Attacks Mamata on TET ED CBI issue: 'আজ যখন ইডি-সিবিআই বলছে, আয় খেলা করি , হাতে হাত ধরি, কিন্তু হাত আর কেউ ধরছে না', শাসকদলকে নিশানা সুকান্তর।
![Sukanta Majumdar: 'ইডি-সিবিআই বলছে, আয় খেলা করি , কেউ হাত ধরছে না', চাকরি ইস্যুতে তোপ সুকান্তর Kolkata News Sukanta Majumdar attacks CM Mamata Banerjee on multiple issue Sukanta Majumdar: 'ইডি-সিবিআই বলছে, আয় খেলা করি , কেউ হাত ধরছে না', চাকরি ইস্যুতে তোপ সুকান্তর](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/10/20/73afd2dcbd31d1eaa7b16afb5b977bfd1666260208013484_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কমলকৃষ্ণ দে,পূর্ব বর্ধমান: চাকরিপ্রার্থী থেকে রাজ্য়ের একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদল তথা মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee)নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, 'একটা সময় তৃণমূল বলতো খেলা হবে খেলা হবে। কিন্তু আজ যখন ইডি-সিবিআই বলছে, আয় খেলা করি , হাতে হাত ধরি, কিন্তু হাত আর কেউ ধরছে না। মুখ্যমন্ত্রীর শখ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হবেন, ঘনঘন দিল্লি যাচ্ছিলেন । কিন্তু আজ যখন তাদের নেতা-মন্ত্রীদের এবং তাঁদের সিকিউরিটিদের ইডি, সিবিআই দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ আর যাচ্ছে না। কেউ বলছে না। সবাই বলছে ওমুখো আর হব না। '
'যে মাগুর মাছ বেচতো, আজকে তিনি কোটিপতি'
অনুব্রতর নাম না করে বললেন,' যে নেতা একটা সময় বলেছিলেন চড়াম চড়াম করে সেই নেতা এত সুন্দর নেতা যে মাগুর মাছ বেচতো, আজকে তিনি কোটিপতি। চাকরিপ্রার্থী যারা বসে আছেন তাদের কাছে কেষ্টর একটি ভিডিও তৈরি করে নিয়ে আসুন যে কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায় তাহলে আর তারা কেউ চাকরি চাইবে না। টিউশন পড়িয়ে মাসে কয়েক হাজার টাকা ইনকাম করা যায়? কিন্তু এক মন্ত্রীর মেয়ে টিউশন পড়িয়ে ব্যাংকে তিন কোটি টাকা রোজগার করেছে। ভাবুন কি ট্যালেন্টেড, গোটা রাজ্যে মৃত্যু মিছিল চলছে একটি জেলাতে ১২৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে আর মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় কার্নিভাল করছে বেকার যুবকদের কান্না লুকোবার জন্য কান্নার শব্দকে চাপা দেবার জন্য, কার্নিভালের জোরে জোরে ঢোল বাজাচ্ছেন যাতে কান্নার শব্দ না শোনা যায়। '
'হীরক রাজার দেশেও রাজা তার নিজের মূর্তি তৈরি করেছিলেন'
তিনি আরও বলেন, 'হীরক রাজার দেশেও রাজা তার নিজের মূর্তি তৈরি করেছিলেন। জনগণ সেখানে স্লোগান দিয়েছিলেন দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান। আমরাও এ রাজাকে খান খান করে ছাড়বো। এই রানিকে খানখান করে ছাড়বো। তার জন্য লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ধমকানো, চোখ দেখানো, আমরা এক বছর দেখে নিয়েছি আর দেখতে রাজি নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ প্রশাসনকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি, আমরা শান্তিপ্রিয় মায়ের ছেলে আমরা। কিন্তু প্রয়োজনে অস্ত্র হাতেও তুলতে ভয় পায় না।মায়ের উপর যখন আঘাত আসবে তখন আমরা অস্ত্র ধরতে বাধ্য হব।'
'পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস একটাই মল, যেখানে সমস্ত চোর পাওয়া যায়'
চাকরি ইস্যুতে তিনি বলেন, 'যারা অনশন করছে চাকরি হয়নি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, রাজ্য সভাপতি হিসেবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা ক্ষমতায় এলে কেউ চুরি করে চাকরি করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকার যখন অনলাইনে পরীক্ষা নেয় সেই রকম অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করব যাতে উপযুক্ত তারাই চাকরি পাবে। ঘুষ দিয়ে চাকরি করতে পারবে না। যখন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হবে।পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস একটাই মল, যেখানে সমস্ত চোর পাওয়া যায়। ছোট চোর, বড় চোর, মেজো চোর। পঞ্চায়েতের জন্য কোমর বেধে লড়াই করুন। সোশ্যাল মিডিয়া ছবি তুলে নিজেকে প্রমাণ নয়, সেলফি তুলে এই নেতা আমার চাই না। যারা লড়াই করবে পঞ্চায়েতের নিজের বুথ সামলে থাকবে আর যে দেবতা যে ফুলের সন্তুষ্ট তাকে সেই ফুল দেবেন। আপনার পঞ্চায়েত আপনাকে রক্ষা করতে হবে আর ফেসবুক ছেড়ে মাটিতে নামুন। মানুষের কাছে যান মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের কাজ করুন।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)