Purba Bardhaman: উলুধ্বনি, সানাই বাজিয়ে আইবুড়ো ভাত উপ প্রধানের! রাজনৈতিক তরজা চরমে
Jamalpur News: উপ প্রধানের দাবি, এলাহি আয়োজন কিছু নয়, মধ্যাহ্ণভোজের সময় বাড়ি থেকে রান্না করে আনা বিশেষ মেনু রাখা হয়েছিল মাত্র।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চায়েতের দফতরে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন (Aiburo Bhaat)। খাওয়া-দাওয়া মিলিয়ে এলাহি আয়োজন। তার জেরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠল। উপ প্রধানকে আইবুড়ো ভাত খাওয়াতেই এত আয়োজন বলে অভিযোগ। কিন্তু হোটেল, রেস্তরাঁ বা বাড়ির পরিবর্তে কাজ বন্ধ রেখে পঞ্চায়েত দফতরে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন হয় বলে অভিযোগ। যদিও উপ প্রধানের দাবি, এলাহি আয়োজন কিছু নয়, মধ্যাহ্ণভোজের সময় বাড়ি থেকে রান্না করে আনা বিশেষ মেনু রাখা হয়েছিল মাত্র।
পঞ্চায়েত দফতরে উপ প্রধানকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো ঘিরে বিতর্ক
পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা (Purba Bardhaman)। জামালপুর (Jamalpur News) ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে উপ প্রধানের আইবুড়ো ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) যে ছবি-ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, কাঁসার থালায় সাজানো রয়েছে পঞ্চ ব্যাঞ্জন। সানািয়ের সুরও শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনিও। রীতিমতো উৎসবের মেজাজ ধরা পড়েছে।
সেই নিয়ে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে। কিন্তু যাঁকে ঘিরে বিতর্ক, সেই উপ প্রধান তথা তৃণমূল নেতা সাহাবুদ্দিন মণ্ডল বলেন, "পঞ্চায়েতের সদস্যরা বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে এসেছিলেন। আমি জানতামই না। ওঁরা আমাকে বাঙালি রীতি মেনে আইবুড়ো ভাত খাওয়ান। পঞ্চায়েতের মিটিং হলে হয়েছ খাওয়া-দাওয়া, তাও আবার লাঞ্চ আওয়ারে। মোবাইলে সানাইয়ের সুর হাজাবো হয়। উলু দেন পঞ্চায়েত সদস্যরাই।"
ওই পঞ্চায়েত দফতরের ১৪ জন কর্মীর মধ্যে ১০ জনই মহিলা, প্রধান নিজেও মহিলা। ৫ জুলাই উপ প্রধানের বিয়ে জেনে সকলে মিলে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: পুলিশ-বনকর্মী নয়, খরস্রোতা নদী থেকে সন্তানকে নিজেই উদ্ধার করল মা হাতি
কিন্তু পঞ্চায়েত দফতরে এ ভাবে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোয় মোটেই কর্ম সংস্কৃতি নষ্ট হয়নি। বাড়ি থেকে আনা খাবার লাঞ্চ আওয়ারে খাওয়ানো হয়। এটা বিজেপি-র অপপ্রচার। প্যান্ডেল করে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি।"
পঞ্চায়েত দফতরকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বিজেপি-র বর্ধমান জেলা কমিটি-র সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত অফিস তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্কৃতির কথা বলছেন যেখানে, সেখানে অফিস টাইমে পঞ্চায়েতে সাধারণ মানুষের কাজ বন্ধ করে এসব হচ্ছে।"
পঞ্চায়েত দফতরে কর্মসংস্কৃতি বিঘ্নিত হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র
গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও, কাজের জায়গায় সহকর্মীকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর মধ্যে অন্যায় কিছু পাচ্ছেন না অনেকেই। তবে জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, "এই ঘটনার কথা জানা নেই। তবে এণন কিছু ঘটে থাকলে, খারাপ হয়েছে।"