Katwa : নাম 'বিভ্রাট' ! পঞ্চায়েতের 'ভুলে' আবাস যোজনার টাকা ঢুকল অন্যের অ্যাকাউন্টে
Dispute over PMAY Money : কাটোয়া (Katwa) মহকুমার মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের ঘটনা
![Katwa : নাম 'বিভ্রাট' ! পঞ্চায়েতের 'ভুলে' আবাস যোজনার টাকা ঢুকল অন্যের অ্যাকাউন্টে Purba Burdwan : Dispute over PMAY money as it transferred to others' account wrongly in Katwa Katwa : নাম 'বিভ্রাট' ! পঞ্চায়েতের 'ভুলে' আবাস যোজনার টাকা ঢুকল অন্যের অ্যাকাউন্টে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/07/02/d3ab118c5fb69f6d3c558c75bf6b86a1_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
রাণা দাস, কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান) : নাম 'বিভ্রাট' ! ভুল। আর এর জেরে আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা নিয়ে টানাপোড়েন।
একজন জীবিত। আর একজন মৃত । তবে, দু'জনার নাম ও পদবি একই। আর একই নাম হওয়ায় ঘটেছে বিপত্তি। আবাস যোজনার টাকা এসেছে একজনের নামে, আর টাকা ঢুকেছে অন্য জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Bank Account)। অনন্ত এমনই দাবি উঠছে। আর সেই নিয়ে শুরু হয়েছে মৃত ও জীবিত হারাধন দাসের দুই পরিবারের মধ্যে টাকার দাবিদার নিয়ে টানাপোড়েন। পঞ্চায়েত ভুল স্বীকার করে জানিয়েছে, মৃত হারাধন দাসের টাকা জীবিত হারাধন দাসের অ্যাকাউন্ট ঢুকে গেছে। তবে তা মানতে নারাজ জীবিত হারান দাস। তাঁর দাবি, এই টাকা তাঁর আবাস যোজনার ঘরের জন্য এসেছে । আর অন্যদিকে, মৃত হারাধন দাসের পরিবার সেই টাকা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিপাকে পরে পঞ্চায়েত দ্বারস্থ হয়েছে ব্যাঙ্কের।
আরও পড়ুন ; প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি ? তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দেগঙ্গায়
ঘটনাটা কী ?
কাটোয়া (Katwa) মহকুমার মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের ঘটনা। গ্রামের দাসপাড়ায় হারাধন দাস নামে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে এক জন মৃত ও এক জন জীবিত। দুই হারাধনের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। জীবিত বৃদ্ধ হারাধনবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিনকয়েক আগে প্রকল্পের ঘর তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকে। তাঁর পরিবার থেকে প্রমাণপত্র সহ ব্যাঙ্কে গেলে এই টাকা তাঁদের বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে মৃত হারাধন দাসের পরিবার আবাস যোজনার টাকা কবে পাবে তা পঞ্চায়েতে খোঁজ নিতে গেলে, তাদের জানানো হয় তাদের পরিবারের জন্য ঘর তৈরির টাকা ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের টাকা অন্যজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
এর পর থেকেই মৃত হারাধন দাসের দুই ছেলে জীবিত হারাধনবাবুর কাছে টাকা ফেরত চেয়ে হন্যে দিয়ে পড়ে থাকেন। বিষয়টি গড়ায় পঞ্চায়েত পর্যন্ত। ফাইলপত্র ঘেঁটে পঞ্চায়েত বুঝতে পারে, ভুল তাদের। আবাস যোজনার তালিকায় দুই ব্যক্তির নাম এবং বাসস্থান এক হওয়ায় ভুল করে প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে অন্য হারাধনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত সেই টাকা ব্যাঙ্ককে ব্লক করে দিতে বলে। যাতে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কোনও হারাধন দাসের পরিবারই টাকা তুলতে না পারে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)