Nandigram : মিছিলে নেই দলীয় দুই নেতা, নন্দীগ্রামে তৃণমূলে দ্বন্দ্ব ? 'কাটমানি প্রতিযোগিতা', কটাক্ষ বিজেপির
TMC : সম্প্রতি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা পীযূষ ভুঁইঞাকে তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করেছে তৃণমূল
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম : খোদ জেলা তৃণমূল (TMC) চেয়ারম্যানের ডাকে জনসংযোগ যাত্রা। সেখানেই দেখা গেল না স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতিকে ! যা নিয়ে মিছিলের শেষে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেল নবনিযুক্ত জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের গলায়। কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
সম্প্রতি নন্দীগ্রাম (Nandigram) আন্দোলনের অন্যতম নেতা পীযূষ ভুঁইঞাকে তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করেছে তৃণমূল। কিন্তু খোদ জেলা চেয়ারম্যানের ডাকে জনসংযোগ যাত্রাতেই দেখা গেল না স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে। বাড়ির সামনে মিছিল হলেও, ছিলেন না পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতিও ! আর এই প্রেক্ষাপটে মিছিলের শেষে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেল নবনিযুক্ত জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের গলায়।
কী বলছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ?
তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইঞা বলেন, পার্টির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্টির মালিক আর কেউ নাই। অনেকে যাঁরা জেলায়, ব্লকে অনেক জায়গায় তিনটে-চারটে-পাঁচটা-সাতটা-বাইশটা-চব্বিশটা পদ পেয়ে গিয়েছেন, মনে করেছেন, পার্টির মালিক তাঁরা হয়ে গেছেন... এমন একটা ভাব দেখায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যখন যাঁকে দায়িত্ব দেবেন, তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। আমাকে একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি করব। ধরুন, আমার দায়িত্বটা অন্য কাউকে দিলেন, তিনি করবেন। আমি সমর্থনে থাকব। এটা মেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন ; শাহ-নিয়ন্ত্রণাধীন সমবায় মন্ত্রকের কাজের প্রশংসা ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি তৃণমূল নেতার
শনিবার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ডাকে মিছিল শুরু হয় নন্দীগ্রামের বাইপাস মোড় থেকে। প্রসঙ্গত, পীযূষ ভুঁইয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রতিবাদে গত সোমবার এই বাইপাস মোড়েই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। আবার এই বাইপাস মোড়েই তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের বাড়ি। সুফিয়ানকে শনিবারের মিছিলে দেখা যায়নি।
কিন্তু কেন ? খোদ তৃণমূলের নেতার গলাতেই দলের নেতার বিরুদ্ধে শোনা গিয়েছে কটাক্ষের সুর। তৃণমূল নেতা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, এই মিছিলের কোনও অনুমোদন ছিল না। পতাকা কিনতে পাওয়া যায়...যিনি এই কথা বলছেন, একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন। কোন দল থেকে এসেছেন।
প্রতিক্রিয়া অনেকটা একই নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতির। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানা ছিল না। দলীয় অনুমোদন ছিল না।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যানের ডাকা মিছিল ঘিরে, যখন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বই প্রশ্ন তুলেছে, তখন কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এনিয়ে বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা র সদস্য অভিজিৎ মাইতি বলেন, এদের হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়। কাটমানি নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে।
এদিকে পীযূষ ভুঁইঞা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁরা হয়ত আসতে পারেননি।
আগে তৃণমূল পরিচালিত নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন পীযূষ ভুঁইঞা। কিন্তু অভিযোগ, ২১’র বিধানসভা ভোটের ফলের পর দলীয় নেতৃত্বের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর সম্প্রতি তাঁকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় দল।