Purba Medinipur: আবর্জনায় ভর্তি নিকাশি, বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ, এগরা পুরসভায় আতঙ্কে বাসিন্দারা
Purba Medinipur: এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল পরিচালিত এগরা পুরসভার দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। যদিও, চেয়ারম্যানের আশ্বাস দ্রুত পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: আবর্জনায় (garbage) উপচে পড়ছে নিকাশি নালা (drainage system)। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরা পুরসভা বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল পরিচালিত এগরা পুরসভার দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। যদিও, চেয়ারম্যানের আশ্বাস দ্রুত পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
যেখানে সেখানে আবর্জনার স্তূপ!
নজরে পড়ছে যত্রতত্র আবর্জনা স্তূপ করে রাখা। আবর্জনায় উপচে পড়ছে নিকাশি নালা। একেবারে মশা-মাছির আঁতুড়ঘর।
এ ছবি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার। বাসিন্দাদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
এগরা পুরসভার বাসিন্দা সৌরেন জানা বলেন, 'জল জমে রয়েছে। এই জমা জল থেকে উৎপন্ন হচ্ছে মশা মাছি এবং বিভিন্ন ধরনের কীট পতঙ্গ। এলাকায় দেখা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া টাইফয়েড। সর্দি কাশি জ্বর রোগে ভুগছি এবং ঘরে ঘরে বাচ্চাদের এই সব রোগ লেগেই আছে।'
এগরা পুরসভার অপর বাসিন্দা অমিয় মিশ্রের কথায়, 'পুরসভার কাছে আর্জি দ্রুত পরিস্থিতি দেখা হোক।'
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল পরিচালিত এগরা পুরসভার দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। যদিও, চেয়ারম্যানের আশ্বাস দ্রুত পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সদস্য ঋত্বিক ত্রিপাঠীর কথায়, 'জল যাওয়ার রাস্তা অবৈধ্য ভাবে সবাই ভরাট করে রেখেছে। পুরসভা থেকে জলনিকাশীর ব্যবস্থা না রেখে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল সবাইকে ভরাট করা জন্য। এর জন্য সমস্ত ওয়ার্ডের জল বেরোতে পারছে না, সেখানে মশা মাছি উৎপন্ন হচ্ছে এবং এলাকায় রোগ ব্যাধি দেখা দিচ্ছে।'
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: রাস্তার দাবিতে অস্ত্র হাতে বিক্ষোভ পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসীদের, পঞ্চায়েত অফিসে পড়ল তালা
এগরা পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান স্বপনকুমার নায়ক বলেন, 'জলনিকাশির ড্রেনের যে ব্যবস্থা আমরা যেভাবে অ্যালটমেন্ট পাই সেইভাবে ড্রেন গুলো হয়েছে এবং প্রতিদিন ড্রেন পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। আমাদের পুরসভায় সেইভাবে কোনও রিপোর্ট নেই এলাকায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি হচ্ছে বলে। ড্রেনের জন্য ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পেয়েছি। তাড়াতাড়ি পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোনোর চেষ্টা করছি।'
সবমিলিয়ে, রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থায় নজর দিক পুরসভা।