![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Egra Incident: গুরুতর জখম হয়েও বাইকে চেপে ওড়িশায়! কীভাবে পালিয়েছিলেন ভানু?
Bhanu Bagh: এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজির কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন অনেকে। গুরুতর জখম ২। উড়ে গিয়েছে কারখানার প্রায় পুরোটাই। ধরা পড়েছে সেই কারখানারই মালিক।
![Egra Incident: গুরুতর জখম হয়েও বাইকে চেপে ওড়িশায়! কীভাবে পালিয়েছিলেন ভানু? Purba Medinipur, Egra incident, Bhanu Bagh escaped to Odisha when he was seriously ill, how was the escape route Egra Incident: গুরুতর জখম হয়েও বাইকে চেপে ওড়িশায়! কীভাবে পালিয়েছিলেন ভানু?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/05/18/e9b6d0cd9c21686bd3ed56ff74f316931684404112564385_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর: বিস্ফোরণের সময় জখম হয়েছিলেন বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগও। সেই অবস্থাতেই ওড়িশা পালিয়েছিলেন তিনি। বিস্ফোরণের ২ দিন পরে ওড়িশা থেকে পাকড়াও করা হয় কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগ ও তাঁর ছেলে ও ভাইপোকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পরেই এগরা থেকে ওড়িশায় পালিয়ে পরিচয় গোপন করেছিলেন ভানু বাগ। হাসপাতালে ভর্তির সময় পরিচয় লুকোতে নিজেকে বালেশ্বরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছিলেন ভানু। সেখানে একটি পরিচয়পত্র জমা দিয়েছিলেন ভানু। সেখানে বালেশ্বরের একটি ঠিকানা ছিল। সূত্রের খবর, অন্য কারও পরিচয়পত্র দেখিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানকার চিকিৎসককে ভানু জানান, তাঁর বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায়। দ্রুত চিকিৎসা শুরুর আবেদনের পাশাপাশি, বাড়ির লোকেরা এসে বিল মেটাবে বলে আশ্বাস দেন ভানু বাগ। হাসপাতালের সুপারের অনুমতিতে ভানুর চিকিৎসা শুরু করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
এদিন ভানুকে ধরার পাশাপাশি, তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ ও ভাইপো ইন্দ্রজিৎকেও ধরা হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় কটকের নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন ভানু বাগ। সূত্রের খবর, গুরুতর জখম অবস্থায় বাইকে চেপে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উজিয়ে ওড়িশার নার্সিংহোমে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন ভানু।
এগরায় বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল, বিস্মিত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সূত্রের খবর, তিনি বলেন, 'হে ভগবান! এত ছিন্ন ভিন্ন মৃতদেহ।' সূত্রের খবর, তিনি বলেন,'বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে।' মন্তব্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। 'সিআইডি সিদ্ধান্ত নেবে যে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মত তথ্যপ্রমাণ আছে কিনা', নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। ১২ জুনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের।
এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের ২ দিন পরেও খোঁজ মিলছিল না মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু তাঁর স্ত্রী ও ছেলের। ওড়িশা এবং সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোটখাটো স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সর্বত্র তল্লাশি চালাচতে থাকে পুলিশ। আহত অবস্থায় কাউকে দেখা গেছে কি না জানতে, ভানুর ছবিও দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, রীতিমতো পেশাদারি কায়দায় সপরিবারে গা ঢাকা দিয়েছেন ভানু বাগ। ধরা পড়ার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলেই বন্ধ করে দেন মোবাইল ফোন। ফলে বাজিগর ভানুর হদিশ পেতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল হারিয়েছে? এক ক্লিকেই ব্লক ফোন! খুঁজেও পাবে পুলিশ!
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)