Bangladesh News: নিরাপত্তার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, বলছেন বাংলাদশেরই প্রাক্তন সেনা কর্তা; কোন মডেলে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব ?
Brigadier General Shamim Kamal On Bangladesh Violence: এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম কামাল, কোন মডেলে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব ?
কলকাতা: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর উত্তপ্ত বাংলাদেশ। লাগাতার অশান্তি। প্রশ্নের মুখে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ হাইকোর্ট জানিয়েছে,' কাউকে আইনশৃঙ্খলা ভাঙতে দেওয়া যাবে না।' ইউনূস সরকার জানিয়েছে, 'বিষয়টি সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে।' ঠিক এমনই এক মুহূর্তে শান্তি ফেরাতে, বাংলাদেশকে একটি মডেলের প্রস্তাব দিলেন সেদেশের প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম কামাল। এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন তিনি। কোন মডেলে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব ?
এদিন প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম কামাল বলেন, মূলত সরকারের পতনের পর, বাংলাদেশের নিরাপত্তার পরিকাঠামোটা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৫৬টি থানা লুঠ হয়েছে। প্রায় ৫০টি থানায় অগ্নিসংযোগ হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার ৭৮৯টি অস্ত্র খোয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশ তারপরে যে অবস্থায় রয়েছে, তা অত্যন্ত নাজুক বা প্যারানয়েড অবস্থা। পুলিশের পক্ষে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এখানে যেটা বিষয় আসার ছিল, গত আড়াই মাস ধরে সেনা বাহিনী ময়দানে রয়েছে। তবে সেনা বাহিনী পূর্বের মতোই সক্রিয় রয়েছে। এখন যেহেতু এটা বিশেষ পরিস্থিতি, তাই এটাকে খুবই ডায়নামিকভাবে মোতায়েন করা উচিত। একটা মডেল বলছি যে, যদি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় একটা করে সেনাবাহিনীর ইউনিকে নিযুক্ত করা যায় এবং প্রত্যেকটা থানা বা উপজেলায় একটা করে ডিটাচমেন্ট দেওয়া যায়, সর্বক্ষেত্রে নজরে রাখবে, কোথায় মামলা হচ্ছে, কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, কোথায় সন্ত্রাস হচ্ছে, ইত্যাদি ইত্যাদি।এমন কি এটা যদি করা যায়, তাহলে ১৫ দিনের মধ্যেই আইন শৃঙ্খলার একটা বড় পরিবর্তন আসবে।
আরও পড়ুন, উত্তর ২৪ পরগনার ২ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু ! আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েও শেষ রক্ষা হল না..
তিনি আরও বলেন, সেনা বাহিনী এখন যেভাবে দায়িত্বপালন করছে, এটা অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি ! এটা অনেকটা সেরকমই পরিস্থিতি। সেনাবাহিনীর জন্য এটা একটা অপূর্ব সুযোগ। অতীতে সেনাবাহিনীর যেভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছিল, সেটা অনেকটা উদ্ধার হয়েছে।তবে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি যেটা সমস্যা হচ্ছে, তা হল...আইনশৃঙ্খলার যে প্রধান স্টেক হোল্ডার পুলিশ, একেবারেই অকার্যকর। তারা কাজ করতে পারছে না।' এরপর তিনি বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পর রাজনৈতিক দলগুলির আচরণ প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, এই অগাস্ট বিপ্লবের পরে, কোনও কোনও রাজনৈতিক দল পরিস্থিতির ফায়দা নিচ্ছে। মামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখিয়ে, তারা মানুষকে হয়রানি করছে। কোনও কোনও রাজনৈতিক দল এটাকে আবার অত্যন্ত ভাবে কাজে লাগাচ্ছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।