Purba Medinipur: ২০ হাজার টাকার বিল বাকি, অন্ধকারে স্কুল পরিদর্শকের অফিস
Purba Medinipur News: এসআই অফিসের কর্মীদের দাবি, আসছে না সরকারি বরাদ্দ, তাই বিল বাকি। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ২০ হাজার টাকা বিল বাকি। বিদ্যুৎ দফতর লাইন কেটে দেওয়াও ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অন্ধকারে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস। বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, ৬ মাস ধরে বিল বাকি থাকায় লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। এসআই অফিসের কর্মীদের দাবি, আসছে না সরকারি বরাদ্দ, তাই বিল বাকি। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বন্ধ পড়ে রয়েছে কম্পিউটার, কারণ বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে মহিষাদলের স্কুল পরিদর্শকের অফিস। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারতে হচ্ছে, মোবাইল ফোনের আলো জ্বেলে। বিল বাকি থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাজ চলছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ওয়েস্ট সার্কলের সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস বা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস। স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিস সূত্রে খবর, ৬ মাস ধরে বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। সরকারি বরাদ্দ না আসায় বিল মেটানো যায়নি বলে জানিয়েছেন, অফিসের কর্মীরা।
কী অভিযোগ:
মহিষাদল পশ্চিম চক্র, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের করণিক দিলীপ আদক বলেন, 'বিদ্যুৎ না থাকায় অফিসের কর্মী-আধিকারিকদের পানীয় জল ও শৌচাগারের জল সরবরাহের জন্য সাব-মার্সিবল পাম্পও চালাতে পারছি না। কম্পিউটার চালানো যাচ্ছে না, সরকারি টাকা আসছে না।'
কেন এমন ঘটনা?
নন্দকুমারের বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার কোহিনুর আলি বলেন, 'দীর্ঘদিন বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখাতেই এই সিদ্ধান্ত। ২৮ নভেম্বর থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।' প্রশাসন সূত্রে খবর, এই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে ৮০ থেকে ১০০টি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজকর্ম চলে। এছাড়াও নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন অফিসের কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে, দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন নন্দকুমারের বিডিও সানু বক্সী।
স্কুল পরিদর্শকের অফিস বিদ্যুৎহীন থাকার ঘটনায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস বলেন, 'এই সরকার মেলা খেলায় দান ক্ষয়রাতি করতে ব্যস্ত, আর শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখেছে।' মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, 'সরকারের আমলে শিক্ষকরা সময়মত বেতন পায়। এটাই এই সরকারের সাফল্য।'
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি? আজ রায় দিতে পারে আদালত