Purulia: পুরুলিয়ায় প্রতিবেশী যুবকের হাতে রহস্যজনকভাবে খুন বৃদ্ধ দম্পতি
Purulia News: কিছুক্ষণ পর হাঁড়িরাম সিং সর্দারের ছেলে বাড়ি ফিরে দেখে তার বাবা-মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তিনি বলরামপুর থানায় খবর দিলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: রহস্যময়খুন বৃদ্ধ দম্পতির। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া বলরামপুরে। সেখানে এক প্রতিবেশী যুবকের হাতে খুন হতে হল বৃদ্ধ দম্পতিকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গেছে শুক্রবার বলরামপুর থানার হাড়াশালডি গ্রামের যুবক ঘটক সিং সর্দার গ্রামেরই হাঁড়িরাম সিং সর্দার ও তার স্ত্রী বিন্দেশ্বরী সিং সর্দারকে তাদের বাড়ির সামনে নৃশংস ভাবে লাঠিপেটা করে। যুবকের আক্রমণ দুজনেই ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর হাঁড়িরাম সিং সর্দারের ছেলে বাড়ি ফিরে দেখে তার বাবা-মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তিনি বলরামপুর থানায় খবর দিলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করে বলরামপুর বাঁশগড় হসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক বছর তেষট্টির হাঁড়িরাম সিং সর্দারকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্ত্রী বিন্দেশ্বরী দেবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক ৫৫বছর বয়সী বিন্দেশ্বরী সিং সর্দারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেন এই খুনের ঘটনা সে বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ঘটক সিং সর্দার নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলরামপুর থানার পুলিশ। আজই মৃত ওই দম্পতির দেহগুলির ময়নাতদন্ত হবে পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। ঘটনার জেরে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে রয়েছে পুলিশ মোতায়েন।
পার্কস্ট্রিট হত্যাকাণ্ডে জেল হেফাজত
কিছুদিন আগে পার্ক স্ট্রিটে হোটেলে খুন করে বক্সখাটে দেহ রাখার ঘটনায় ধৃতদের জেল হেফাজত। পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে হত্যাকাণ্ডে ধৃত ২ জনের জেল হেফাজত হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ওড়িশার কটক থেকে গ্রেফতার করা হয় শক্তিকান্ত বেহরা ও সন্তোষ বেহরাকে। উদ্দেশ্য ছিল, গাইড পরিচয় দিয়ে হোটেলে এনে লুঠপাট করা। চাকু বের করে ভয় দেখাতেই বাঁচার তাগিতে পাল্টা আক্রমণ করেছিল ২ যুবক। তাতেই খুন হয়ে যান রাহুল লাল। লুঠপাটের হাত থেকে বাঁচতে ধস্তাধস্তির মধ্যেই গামছা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন। এরপর বক্স খাটে দেহ ঢুকিয়ে রেখে ওড়িশায় চম্পট। পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে যুবক খুনের কিনারা করেছিল পুলিশ। ধৃতদের কলকাতায় এনে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের গোয়েন্দাদের দাবি, গাইড পরিচয় দিয়ে ধৃত শক্তিকান্ত ও সন্তোষ বেহেরার সঙ্গে আলাপ জমান রাহুল লাল। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে, ২ জনেকে হোটেলে নিয়ে যান। বাইরে থেকে খাবার ও মদ আনা হয়। মদ খাওয়ার মধ্যেই ছুরি বের করে তাদের কাছ থেকে লুঠপাতের চেষ্টা করেন রাহুল। কিন্তু, বাঁচার জন্য পাল্টা ওই দুজন বাধা দিলে গেলে খুন হয়ে যান রাহুলই।






















