Purulia Municipality: 'বকেয়া বেতন' না পাওয়ার জের, পৌরপ্রধানের টেবিল চাপড়ালেন অস্থায়ী কর্মী
Purulia Worker Salary Controversy: বকেয়া বেতন না পেয়ে পুরুলিয়ায় পৌরপ্রধানের কক্ষে গিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ এক অস্থায়ী কর্মীর। 'ওই কর্মী মদ্যপান অবস্থায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে', বলে অভিযোগ পৌরপ্রধানের।
সন্দীপ সমাদ্দার,পুরুলিয়া: বকেয়া বেতন না পেয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার (Purulia Municipality) পৌরপ্রধানের কক্ষে গিয়ে টেবিল চাপড়ে ক্ষোভপ্রকাশ এক অস্থায়ী কর্মীর। লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হয়েছে অভিযোগ করেন ওই কর্মী। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন পৌরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। ওই কর্মী মদ্যপান অবস্থায় বিশৃঙ্খলার (Chaos) সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পৌরপ্রধানের।
পুরুলিয়া পৌরসভায় ফান্ডের অভাব। প্রায় তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের। তাই বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন পৌর অস্থায়ী কর্মীরা। এর জেরে পুরুলিয়া পৌরসভার আনাচে কানাচে, গুরুত্বপূর্ন রাস্তা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। দুর্গন্ধে নাজেহাল হয়ে পড়ছে সাধারন মানুষজন। এরইমধ্যে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন প্রদান সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে পুরুলিয়া পুরসভা । সবই ভোট ব্যাংকের খেলা চলছে, কটাক্ষ বিজেপির।
বর্তমানে পুরুলিয়া পৌরসভায় ১৭০০ জনের বেশি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। যার সিংহভাগই সাফাই বিভাগের কর্মী। টানা তিন মাস তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে টানা কর্মবিরতি চলছে অস্থায়ী কর্মীদের। ফলে পুরুলিয়া পুরসভা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। আবর্জনার স্তূপ দীর্ঘ হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। ভ্যাট থেকে বর্জ্য উপচে পড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারন মানুষজন।
বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার পৌর প্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, 'পৌরসভার খাতে ফান্ড নেই । এমত অবস্থায় প্রায় ১৭০০ জনের বেশি অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে খরচ হয় প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা । অথচ এত বেশি সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন নেই। এখন অনলাইন, তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কম সংখ্যক কর্মীতে কাজ সম্ভব। তা ছাড়া কাজ না করেও অনেক কর্মী বেতন তুলছেন। তাই কর্মী সংকোচন করা হবে।'
আরও পড়ুন, বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড ! মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সাহায্য সিভিক ভলেন্টিয়ারের
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একদিকে বকেয়া ডিএ এর ইস্যুতে জারি রয়েছে কর্মবিরতি। মহার্ঘভাতা নিয়ে সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ১০ মার্চ সরকারি কার্যালয় বন্ধ রাখার ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। সেই আবহে মুখ খুললেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ তথা অভিজ্ঞ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমহারে যেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মহার্ঘভাতা চাইছেন, তাহলে রাজ্যের বিধায়করা কেন কেন্দ্রীয় হারে ভাতা পাবেন না (DA Protests), পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ।