Rathin Dandapat: জামিন পেলেন নেতাই গণহত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রথীন দণ্ডপাট
Netai Murder Case Bail: নেতাইকাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএম নেতাকে জামিন দিয়ে পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চের...
কলকাতা: জামিন পেলেন নেতাই গণহত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রথীন দণ্ডপাট (Rathin Dandapat)। সিপিএম নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। নেতাইকাণ্ডে ২০১৪ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন রথীন দণ্ডপাট।'প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে', নেতাইকাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএম নেতাকে জামিন দিয়ে পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চের।
সময়টা ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। অভিযোগ উঠেছিল, সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ির ছাদ থেকে গুলি বর্ষণের। সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ির ছাদ থেকে গুলিতে ৯ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। । জখম হয়েছিলেন ২৮ জন। এঁরা প্রত্যেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিলেন। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদ মিছিল। স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ দায়ের হয়। মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গ্রেফতার করা হয় ২০ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ওই দিনটিতে নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। গত বার, ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে মৃতদের স্মরণে শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছিলেন, কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায়, তাঁকে যাওয়া-আসার সময়েও নিরাপত্তা দেবে সরকার, এর আগে এমনটাও জানানো হয়েছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু অভিযোগ, পথে তাঁকে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। পরে হেঁটে, ভীমপুর পর্যন্ত গিয়ে, সেখানে অস্থায়ী বেদি তৈরি করে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা। এবার এবার তাই আগে থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, অযোধ্যার আগেই রামমন্দিরের উদ্বোধন মেদিনীপুরে
বাইশ সালে সিপিআইএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেছিলেন,'রাজ্য সরকার চরম নির্মম,তাই বাড়ির লোক মারা গেল একবারও প্যারোলে মুক্তির সুযোগ দেয়নি। লালগড় ও নেতাই থেকে ক্ষমতা দখল করতে ফুল্লরাকে সরানোর প্রয়োজন ছিল শাসক দল তৃণমূলের। তাই মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজ করে এই গণহত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল। একথা বই লিখে জানিয়েছি। রাজ্য সরকারের দম থাকলে চ্যালেঞ্জ করুক।'