Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য, সিবিআইয়ের মুখে 'টুইন টাওয়ার' প্রসঙ্গ
Teacher Recruitment Scam: হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করল নিয়োগ দুর্নীতির টুইন টাওয়ারের একটি হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আরেকটি স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফের একবার টুইন টাওয়ারের উপমা টানল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
কলকাতা: SSC এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হল, দুর্নীতির টুইন টাওয়ার। হাইকোর্টে বলল CBI. নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে, চলচ্চিত্র জগতের যাঁদের নাম জড়িয়েছে, তাঁদেরও সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল হাইকোর্ট। (High Court) এদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (leaps and bounds) অফিসে ফাইল ডাউনলোড মামলায়, হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কলকাতা পুলিশ। (Kolkata police)
হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করল নিয়োগ দুর্নীতির টুইন টাওয়ারের একটি হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আরেকটি স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফের একবার টুইন টাওয়ারের উপমা টানল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ২০০১ সালের এই ১১ সেপ্টেম্বর বিধ্বংসী সন্ত্রাসবাদী হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বিল্ডিং আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।
৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ২০১৪-র টেট পরীক্ষার ওএমআর সংক্রান্ত মামলা ছিল। সেই মামলায় সিবিআই আইনজীবী বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের (উচ্চতা) সমান দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে আমরা (CBI) ১১ সেপ্টেম্বর এজলাসে হাজির হব।
উত্তরে বিচারপতি বলেন, তাহলে তো সেই বিশাল পরিমাণ দুর্নীতি ভেঙে ফেলা দরকার। এ দিন আদালতে সিবিআই সেই টুইন টাওয়ারের সঙ্গেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তুলনা টানল। আর এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি যোগ করেন, পুরসভাও মাথা চাড়া দিয়েছে। তখনই পাশ থেকে এক আইনজীবী মজার ছলে বলে ওঠেন, ওটা তো বুর্জ খলিফা। উল্লেখ্য়, সংযুক্ত আরব অমিরশাহির দুবাইতে রয়েছে ১৬৩ তলার বহুতল বুর্জ খলিফা যা পৃথিবীর উচ্চতম বহুতল। বুর্জ খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে, লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির পাশাপাশি, চলচ্চিত্র জগতের যাঁদের নাম, দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে, তাঁদেরও সম্পত্তির খতিয়ান তলব করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের অফিসে ফাইল ডাউনলোড মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ED যদি আদালতে বলেই থাকে যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইল তারা তদন্তে ব্যবহার করবে না তাহলে তো কোনও সমস্যাই নেই। তাহলে কলকাতা পুলিশ কেন ED কে বারবার চিঠি, ইমেল পাঠাচ্ছে? পাশাপাশি, বিচারপতি মৌখিক নির্দেশ দেন, ED-র কাছ থেকে কোনও তথ্য চেয়ে ইমেল বা চিঠি পাঠাতে পারবে না কলকাতা পুলিশ।
এ দিকে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বহিষকৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায়, এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, নিম্ন আদালতের ২ টি রায় আপাতত কার্যকর করা হবে না। অর্থাৎ, CBI ও কলকাতা পুলিশকে যুগ্মভাবে তদন্ত করার যে দুটি নির্দেশ নিম্ন আদালতের বিচারক দিয়েছিলেন, তা কার্যকর করা হবে না বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।