Manik Bhattacharya : 'মিথ্যা সাক্ষ্য মানিকের', ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির ; CBI-এর প্রশ্নোত্তরপর্ব নিয়েও অসন্তোষ !
Calcutta High Court Justice : 'এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ ? এর চেয়ে আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করব', বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam Case) কোর্টে ফের ভর্ৎসিত মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সিবিআইয়ের (CBI) তদন্ত নিয়েও ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। '২০১৪-র টেটের ওএমআর সরবরাহের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়নি। টেন্ডার ছাড়াই বরাত দেওয়া হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছেন মানিক', এমনই দাবি করে সিবিআই। কিন্তু 'এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ ? এর চেয়ে আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করব', বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতির ক্ষোভ প্রকাশ-
আদালতের অভিযোগ, আদালতের সামনে মানিক ভট্টাচার্য বারবার যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে তা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর পাশাপাশি সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি নির্দেশ দেন, একেবারে স্পষ্ট করে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে যে, যাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করেছিল, সেই এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কী সম্পর্ক ছিল ? কেন কনফিডেন্সিয়াল বলা হচ্ছে, সেই সমস্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের তরফে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের যে প্রশ্নোত্তর পর্ব কলকাতা হাইকোর্টে জমা করা হয়েছে, সেই প্রশ্নোত্তরপর্ব নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেছেন, যে ধরনের প্রশ্ন সিবিআইয়ের তরফে করা হয়েছে, এর থেকে ভাল প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, কলকাতা হাইকোর্টের যে সব আইনজীবী ফৌজদারি মামলা করেন, তাঁরা এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
ফলে সেই কারণে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে তিনি খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বাজেয়াপ্ত করা ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর পরিবার ও সংস্থার নামে থাকা ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে মানিক ও তাঁর ছেলের সৌভিকের যোগ রয়েছে। আদালতে রিমান্ড লেটারে সম্প্রতি দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ডিএলএড-এ অফলাইন ভর্তির জন্য ৩ দফায় ২০১৮-২০২২, এই ৪ বছরে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৮-২০২০, টাকার অঙ্ক ছিল ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৫ হাজার। ২০১৯-২০২১, টাকার অঙ্ক বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ২০ হাজার। ২০২০-২০২২, আরও বেড়েছে টাকার অঙ্ক। ওই শিক্ষাবর্ষে মোট ৯ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। রিমান্ড লেটারে ইডি-র দাবি, তাপস মণ্ডলের সল্টলেকের মহিষ বাথানের অফিসে লোক পাঠিয়ে টাকা নিয়ে যেতেন মানিক।
আরও পড়ুন ; পার্থ-মানিকের মদতেই শান্তনুর দুর্নীতির সাম্রাজ্য শান্তনুর! সরাসরি যোগের দাবি ইডির