Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাও! অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে নয়া তথ্য
Recruitment Corruption: কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্য়ে রয়েছে বিভিন্ন সকুলে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) কি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের যোগ রয়েছে? রাজ্য় জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে কি শিক্ষকদেরও র্যাকেট চলত? অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নাম।
জিজ্ঞাসাবাদে নয়া তথ্য: ২০১৬ সালের SSC-র প্যানেলে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে CBI. আর তাতেই এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্য়ে রয়েছে বিভিন্ন সকুলে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম। অযোগ্য়দের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় কি ভূমিকা ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের? সরাসরি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সহ ৩৭ জনকে তলব করা হবে।
CBI সূত্রে দাবি, SSC-র ২০১৬ সালের ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারের বেশি অযোগ্য চাকরি প্রাপককে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে সিংহাভাগের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ হয়েছে। দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়, রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩০-৩৫ জন নতুন এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। তাঁদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন যথেষ্ট প্রভাবশালী বলেও দাবি CBI-এর । মূলত চাকরি বিক্রির টাকা লেনদেন হয়েছিল এই সব এজেন্টদের মাধ্যমে। এর আগে আলিপুরের বিশেষ আদালতে CBI দাবি করেছিল, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাকতলার বাড়িতেই হত চাকরি বিক্রির এজেন্ট-মিট। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংদের মতো মিডলম্য়ানদের। নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় পরিকল্পনা তৈরি হত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে। SSC-র কর্তা থেকে চাকরি চুরির এজেন্ট, সবাই উপস্থিত থাকতেন সেখানে। কাদের চাকরি দেওয়া হবে, সেই তালিকা তৈরি হত পার্থর বাড়িতে চাকরি বিক্রির বৈঠকে।
SSC মামলায়, ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রডূড় জানিয়ে দেন, যোগ্য়-অযোগ্য আলাদা করা গেলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের পর কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ CBI-কে অযোগ্য় চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: NEET Scam: সাদা খাতা জমা দিয়ে NEET-এ সুযোগ! শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের