Recruitment Scam: পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় শিক্ষকদের তলব, শুরু রাজনৈতিক তরজা
Kunal Attacks Justice Gangopadhyay: পোস্টিং সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরই, শুরু রাজনৈতিক তরজা।
কলকাতা: পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় ( Posting Corruption Case) মঙ্গলবারও ৪০ জন শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। এদিকে, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরই, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পাল্টা কুণাল ঘোষকে নিশানা বিরোধীদের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা হাতে পেলেই বন্ধ করা হবে তদন্ত, দাবি সিবিআই সূত্রে।
পোস্টিং দুর্নীতি মামলায়, সোমবার তলব করা হয়েছিল ৫০ জন শিক্ষককে।এই মামলাতেই মঙ্গলবার আরও ৪০ জন শিক্ষককে তলব করল সিবিআই। সোমবার তলব করা ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে হাজিরা দিয়েছিলেন ৪০ জন। আর মঙ্গলবার, ৪০ জন শিক্ষকের মধ্যে হাজিরা দিলেন মাত্র ২৪ জন। পোস্টিং সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে আসেন অভিযুক্ত শিক্ষকরা। সূত্রের দাবি, কোনও এজেন্টের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছিল কি? পছন্দের জায়গায় কীভাবে পোস্টিং মিলল? কোনও প্রভাবশালীর সঙ্গে কি কথা হয়েছিল? ভ্যাকেন্সির কথা কি আগে থেকেই জানা ছিল? অভিযুক্তদের থেকে এই বিষয়গুলিই জানতে চাওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।
এই পোস্টিং দুর্নীতি মামলাতেই, CBI তদন্তের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের পরও, মঙ্গলবার শিক্ষকদের তলব করা প্রসঙ্গে, সিবিআই সূত্রে দাবি, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনামার কপি এসে পৌঁছয়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে।হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা হাতে পেলেই বন্ধ করা হবে তদন্ত। এই মামলাতেই, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এসেছিল,ডিজাইনড কোরাপশন অর্থাৎ পরিকল্পিত দুর্নীতির কথা।সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের ওপর সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর, ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন, 'র্যাগিং হলেই ফোন করুন, ব্যবস্থা নেবে সরকার..', টোল ফ্রি নম্বর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন,সিপিএম ও আইএসএফের ভগবান। নির্দেশে যদি গোলাপ ফুল হয়, তা হলে স্থগিতাদেশে তো টাউন হলে গিয়ে সম্বর্ধনা দিতে হবে। এর কমে হবে না। নির্দেশ আর স্থগিতাদেশ, নির্দেশ আর স্থগিতাদেশ। এ তো উনি বিশ্বরেকর্ড করবেন উনি। আর ২ টো নির্দেশে স্থগিতাদেশ হলেই তো নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়া উচিত।' 'কোনও বিচারপতিকেই এরা পছন্দ করেন না। যারা যারা অপরাধ করেন তারা কখনোই আইন আদালত বিচারপতি এদের পক্ষে থাকেন না', পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে বিরোধীদের তরফেও।