RG Kar Case: CBI বলছে ২৭ মিনিট, ৭-৮ ঘণ্টা বলে দাবি রাজ্যের, RG করের CCTV ফুটেজ নিয়ে বিতর্ক
Supreme Court: এদিন শুনানি চলাকালীন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, সিবিআই তাদের রিপোর্টে যা লিখেছে, তা দেখে বিচলিত আদালত।
কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজের দৈর্ঘ্য নিয়ে তর্ক-বিতর্ক সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই-এর দাবি, মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্যের দাবি, সাত থেকে আট ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কপিল জানান, সমস্ত ফুটেজ দেওয়া হয়েছে, যা সই করেই গ্রহণ করেছে সিবিআই। (RG Kar Case)
এদিন শুনানি চলাকালীন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, সিবিআই তাদের রিপোর্টে যা লিখেছে, তা দেখে বিচলিত আদালত। কলকাতা পুলিশ কেন মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিয়েছে জানতে চান তিনি। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী কপিল বলেন, "৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।" কেন পুরো সিসিটিভি-র ফুটেজ দেওয়া হয়নি? ফুটেজ খতিয়ে দেখা দরকার, প্রতিক্রিয়া জানান ফিরোজ এডুলজি। (Supreme Court)
এতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, "কেন DVR বাজেয়াপ্ত করছেন না? তার পর তো ফুটেজ ঠিক আছে না বিকৃত আছে দেখতে পারেন।" অকুস্থলের আশেপাশের সিসিটিভই ফুটেজ সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চান তিনি। এতে কপিল সিবল বলেন, "DVR সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। সই করেই তা গ্রহণ করেছে সিবিআই।"
রাজ্যের তরফে কী কী দেওয়া হয়েছিল জানতে চান প্রধান বিচারপতি। সিবল জানান, পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক এবং বাকি সবকিছুই দেওয়া হয়। ১৪ অগাস্ট একটি পেনড্রাইভ দেওয়া হয় ৩২ জিবি-র। এর পাল্টা সলিসিটর জেনারেল জানান, পেনড্রাইভের ক্ষমতা কত, তা প্রাসঙ্গিক নয় এক্ষেত্রে। ১০০ জিবি-র পেনড্রাইভ দেওয়া হলেও, তাতে মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ রয়েছে। এতে সিবল বলেন, "এতদিন তো পেনড্রাইভটি রয়েছে আপনাদের কাছে। ৪০ দিন হয়ে গিয়েছে। আগেই দেখে জানাতে পারতেন তাহলে?"
এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনারা যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে একাধিক পেনড্রাইভ দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।" সিবল জবাবে বলেন, "আর জি করের চারটি ক্যামেরা সমস্ত ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত। সেই ক্যামেরায় যা ধরা পড়েছে, সব তুলে দেওয়া হয়েছে।" এদিন আদালতে বাদানুবাদেও জড়ান সিবল এবং সলিসিটর জেনারেল। মামলাকারীর আিনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, ওই ঘরে ঢোকার পথে ক্যামেরা ছিল না। আরও ঢোকা ও বেরনোর পথ ছিল। অন্য পথ দিয়েও কেউ ঢুকে আবার বেরিয়ে যেতে পারে।