RG Kar Hospital News: 'কাল তো আমার সঙ্গেও হতে পারে, দোষীদের শাস্তি চাই', RG Kar-এর ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুনে বিচার চেয়ে পথে চিকিৎসকরা
RG Kar Medical College Protest Rally: পথে নেমেছেন সহকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে, পথে নেমেছেন নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। রাজপথে উঠছে 'We Want Justice'-এর ঝড়!
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে, শুক্রবারে যখন দেহ উদ্ধার হল তখন তা 'লাশ'। নাক, মুখে জমাট রক্ত, গোপনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন, চোখ থেকেও রক্তক্ষরণ, শরীরে ১০ রকমের আঘাতের চিহ্ন, বিবস্ত্র, ঊর্ধাঙ্গে ছিল না পোশাক, কিছু দূরে নিম্নাঙ্গের পোশাক... আরজি করে হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের দেহ যখন উদ্ধার হয় তখন যেন তা নৃশংসতারই চিহ্ন বহন করছে।
সহকর্মীর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের মহিলা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই RG কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করছেন PGT চিকিৎসকরা। আজ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের দাবি।
পথে নেমেছেন সহকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে, পথে নেমেছেন নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। প্রতিবাদী এক চিকিৎসকের কথায়, 'রাতে আমাদের সকলেরই ঘুরে ফিরে ডিউটি থাকে। আজ একজনের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। কাল তো আমাদের সঙ্গেও এমনটা হতে পারে। কী সুরক্ষা রয়েছে? বাড়ির লোক ভয় পাচ্ছে। আমাদের একটা আলাদা রুম নেই। যে রুম আছে সেখানে একটা ছিটকিনি পর্যন্ত নেই। কীভাবে রক্ষা করব নিজেদের সেটা ভেবেই আতঙ্কিত হচ্ছি।'
অন্যদিকে, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ইমার্জেন্সি ছাড়া জুনিয়র চিকিৎসকরা ওয়ার্ড ডিউটি বা আউটডোরে রোগী দেখছেন না। জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ড ডিউটি ছাড়া আউটডোর পরিষেবা বা অস্ত্রোপচার করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এদিকে, RG কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একজন গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সঞ্জয় বহিরাগত হলেও, হাসপাতালে তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। RG কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুমে পড়েছিল একটি ব্লু-টুথ হেডফোনের ছেঁড়া তারের অংশ। তদন্তে নেমে দেখা যায় সেটি সঞ্জয় রায়ের, সেই সূত্রেই তাঁকে পাকড়াও করা হয়, খবর পুলিশ সূত্রে। গতকাল টালা থানায় নির্যাতিতার বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। আরজি করে পৌঁছলেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা।
আরও পড়ুন, বহিরাগত হয়েও হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত, হেডফোনের ছেঁড়া তারেই চিকিৎসক-খুনে গ্রেফতার সঞ্জয়
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে