RG Kar Medical Student Death: সরানো হল RG করের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে, দায়িত্বে এলেন বুলবুল মুখোপাধ্যায়
RG Kar Medical Student Death: আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার হলেন বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে।
কলকাতা: সরিয়ে দেওয়া হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার জেরে আরজি কর হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার হলেন বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। সুপারের বিরুদ্ধে এর আগেই সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা এবং নিহতের পরিবার। সেই আবহেই এমন সিদ্ধান্ত। (RG Kar Medical Student Death)
রবিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সঞ্জয়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁর বিভাগে। ওই জায়গায় আনা হল বুলবুলকে। তিনি স্টুডেন্টস অফ ডিন অ্যাফেয়ার্স ছিলেন। বর্তমানে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্যও তিনি। তদন্তের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই সঞ্জয়কে তাঁর পুরনো বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। (RG Kar Medical Student Death)
সঞ্জয়কে ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। বুলবুলের হাতেই এবার RG করের উপাধ্যক্ষ করা হল। এই মুহূর্তে পড়ুয়ারা যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা পড়ুয়ারা রয়েছেন RG করে হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দফতরের এই সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, "প্রিন্সিপালকে কি সরিয়ে দেওয়া হল? তিনিই তো এতদিন ধরে কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন। তিন-তিন বার বদলি হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিরে এসেছেন আবার। যখন এত তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, প্রথম থেকে ছাত্ররা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করছেন। অথচ চুনোপুঁটিদের সরিয়ে রাঘব বোয়ালরা বসে থাকছেন। আন্দোলন রুখতে ব্যারিকেড বসিয়ে রেখেছে। ঢুকতে দিচ্ছে না।"
RG কর্তৃপক্ষের তরফে হাসপাতাল চত্বরে বহিরাগতদের বিক্ষোভ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবেই ঢোকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, হাসপাতালের প্রবেশ পথও সঙ্কীর্ণ করে তোলা হয়েছে। চিকিৎসকদেরও পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সুপারকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এক পড়ুয়া বলেন, "এটা একটা পদক্ষেপ হল। আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তও চাই। একটা পদক্ষেপে খুশি হওয়ার কারণ নেই।" অর্থাৎ বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা।