RG Kar News: মেয়ের খুনে জড়িত 'চেস্ট ডিপার্টমেন্ট'! আরজি করের বিরুদ্ধে এবার বড় অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার
RG Kar Protest Family: তাঁর কথায়, ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি যদি না থাকবে, আজ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট আমাদের সাথে কোনও কথা বলেনি।
কলকাতা: চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে শুরু থেকেই প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগে বিদ্ধ আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের সদ্য় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ফের অসংবেদনশীল আচরণের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা।
তাঁর কথায়, ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি যদি না থাকবে, আজ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট আমাদের সাথে কোনও কথা বলেনি। উল্টে অধ্য়ক্ষ বলছে আমার ঘরে আসতে হবে আমার সঙ্গে কথা বলতে হলে, প্রথম দিনই যেদিন আমার মেয়েটা মারা গেছে।'
এই প্রেক্ষাপটেই শুক্রবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শনিবার ফের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সন্দীপ ঘোষের থেকে জানতে চান, চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর তিনি কখন জানতে পারেন? জানতে পারার পর কী কী পদক্ষেপ করেন?
নিহত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন সকালে ফোনে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পরিচয় দিয়ে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সূত্রের দাবি, এই প্রেক্ষিতে সন্দীপ ঘোষের থেকে সিবিআই জানতে চায়, যে মোবাইল নম্বর থেকে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেই নম্বর তিনি চেনেন কিনা। তিনিই কি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের ফোন করতে বলেছিলেন?
ঘটনার রাতে চেষ্ট মেডিসিন বিভাগে কারা ডিউটিতে ছিলেন, তা-ও জানতে চাওয়া হয় সন্দীপ ঘোষের থেকে। এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে আগেই প্রাক্তন MSVP, চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের বর্তমান প্রধানের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এবার সন্দীপ ঘোষের বয়ান বাকিদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে, কোথাও কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কিনা।
ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার হল, যেখানে নিহত চিকিৎসকের দেহ মেলে, ১১ অগাস্ট ঠিক তার উল্টোদিকে সংস্কার শুরু হয়। যা নিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, যে ওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে সংস্কারের কাজ হচ্ছিল, তাতে সই করেছিলেন সন্দীপ ঘোষই। সিবিআই সূত্রে দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনিই কি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন? সংস্কারের নির্দেশ দিয়ে থাকলে অত তাড়াহুড়োর কী কারণ ছিল?
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, যিনি ঘটনার পর পদত্যাগ করেছেন, তাঁর জিজ্ঞাসাবাদও অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এই অবস্থায় তদন্ত কমিটি চাইছে এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও দ্রুত তদন্ত হোক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে