RG Kar News: 'গত ১০ বছরে অন্তত ৬০০ চিকিৎসক পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে রেখেছেন', চাঁচাছোলা জবাব চিকিৎসক গোস্বামীর
Mass Resignation: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে থেকে একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন।
কলকাতা : জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসক গণ-ইস্তফা দিয়েছেন। যার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ১০ দফা দাবি সামনে রেখে শনিবার থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য় সরকার তাতে সাড়া না দেওয়ায়, অনশনরত জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রথমে গণ ইস্তফা দেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক-অধ্যাপক। তারপর একে একে শামিল হন অন্যান্য বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের আরও সিনিয়র চিকিৎসক । যা নিয়ে এদিন রাজ্যের তরফে মতামত জানান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তের ব্যক্তিগত রেজিগনেশন সার্ভিস রুল অনুসারে না হলে সেটা পদত্যাগপত্র নয়।' এ প্রসঙ্গে এবার পাল্টা চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিলেন সিনিয়র চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।
এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফ্যাকাল্টিরা রেজিগনেশন বলে ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন পাঠান। সেটি গণদরখাস্ত। সই করে দিয়েছেন। মাস পিটিশন মতো। মাস চিঠির মতো করে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটা জানাতে চায় যে, রেজিগনেশন ইজ নেসিসারিলি অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল সাবজেক্ট। ইটস আ ম্যাটার বিটুইন দি এমপ্লয়ার অ্যান্ড দি এমপ্লয়ি। ফলে, নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তের ব্যক্তিগত রেজিগনেশন সার্ভিস রুল অনুসারে না হলে সেটা পদত্যাগপত্র নয়।"
এ প্রসঙ্গ পাল্টা জবাব দিয়ে সিনিয়র চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "আলাদা করে পদত্যাগপত্র আজ অবধি, এই গত ১০ বছরে অন্তত ৬০০ চিকিৎসক পাঠিয়ে রেখেছন। যা স্বাস্থ্যভবনে জমা হয়ে রয়েছে। আড়াইশোরও বেশি ভলান্টিয়ারি রিটায়ারমেন্টের কাগজ পড়ে রয়েছে। সরকার আগে সেগুলো গ্রহণ করুক। তাহলে বুঝব, সরকারের কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল আছে।"
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে থেকে একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার পাশে দাঁড়ালেন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা।রাজ্য় সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়িয়েছেন চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের পাশে দাঁড়িয়ে এবার গণইস্তফার পথে হাঁটতে শুরু করেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। সেই তালিকায় আরজি কর মেডিক্যালসের পাশাপাশি রয়েছে- কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল বহু চিকিৎসক। এই তালিকা আরও দীর্ঘ। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজেও চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি। ধর্মতলায় আমরণ অনশরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরাও গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ৩৮ জন চিকিৎসকের গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি। আর জি কর কাণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের। গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠালেন চিকিৎসকরা।