RG Kar News: 'একটা বছর কি পুজোর সময় না নাচলে-ঘুরলে হতো না ?' প্রশ্ন চিকিৎসকের; ধর্মতলায় তুমুল উত্তেজনা
Junior Doctors Hunger Strike: আন্দোলনকারীদের একাংশ এবং নাগরিক সমাজ গিয়ে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে জলের গাড়ি নিয়ে আসেন।
![RG Kar News: 'একটা বছর কি পুজোর সময় না নাচলে-ঘুরলে হতো না ?' প্রশ্ন চিকিৎসকের; ধর্মতলায় তুমুল উত্তেজনা RG Kar News water loaded vehicle stopped by police to enter at junior doctors hunger strike area RG Kar News: 'একটা বছর কি পুজোর সময় না নাচলে-ঘুরলে হতো না ?' প্রশ্ন চিকিৎসকের; ধর্মতলায় তুমুল উত্তেজনা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/10/08/b3ca55ecdeeb0ab6e1de40f51de5dacd1728365037931170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা : এর আগে মঞ্চ, বায়ো টয়লেট, চৌকি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সামগ্রী নিয়ে আসার পথে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনস্থলে জলের গাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ধর্মতলায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা। চলে দুই পক্ষের বচসা। জলবাহী গাড়ি যিনি নিয়ে আসছিলেন তিনি ধর্নামঞ্চে আন্দোলনকারীদের কাছে এসে অভিযোগ জানান, একাধিক জায়গায় পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই আন্দোলনকারীদের একাংশ এবং নাগরিক সমাজ গিয়ে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ডেকার্স লেনের সামনে থাকা স্থানীয় আউটপোস্ট তথা ট্র্যাফিক গার্ড হেড কোয়ার্টারের কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে আসেন। মানববন্ধন করে সেই গাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর গাড়ি ব্যারিকেডের ভিতরে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ সেই গাড়ি পৌঁছয় অনশনমঞ্চের কাছে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, "এই অনশনটা তোলার জন্য এইসব সমস্যা। আমার একটাই বক্তব্য হাতজোড় করে বলছি, এই অনশন-ধর্ণাটা এরা না কোনও রাজনীতিকের বিরুদ্ধে করছেন, না কোনও সরকারের বিরুদ্ধে করছেন। যাঁরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাকে নষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁদের সরাতে বলছেন। এঁরা তো বলছেন না যে, সরকার শেষ হয়ে যাক। আজ যদি আমরা হেরে যাই, তাহলে এই যে লোকগুলো যারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাকে পুরো নষ্ট করে দিয়েছে, ডাক্তারিতে ঢুকতে টাকা, প্রত্যেকটা স্টেপে টাকা। জনগণ ভুগবে। ওঁরা তো শুধু চাইছেন, দোষীগুলোকে সরাও। সিস্টেমটা পরিষ্কার করো। ওঁরা তো আর কিছু বলছেন না । তাহলে সবাই প্রতিরোধ কেন করছেন ? সরকার যদি বলে আমিও দোষীকে সরাতে চাই, একটু প্রো-অ্যাক্টিভ অ্য়াকশন নিক। একটা বছর কি পুজোর সময় না নাচলে-ঘুরলে হতো না ?"
এদিকে সোমবার অনশনমঞ্চের জন্য আসা চৌকি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে বউবাজার থানার পুলিশের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বচসাও হয়। এরপরই থানা ঘেরাও করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর প্রায় তিন ঘণ্টা পর থানা থেকে কাঁধে করে চৌকি নিয়ে বেরোন চিকিৎসকরা নিজেরাই। শুধু তাই নয়, বাজেয়াপ্ত চেয়ারও হাতে হাতে নিয়ে ধর্মতলার অনশন মঞ্চের দিকে হেঁটে চলেন চিকিৎসকরা। এ দৃশ্য যেন পুজোর আবহে বেনজির। চতুর্থীর সন্ধ্যেয় শহরের রাজপথ দেখল কাঁধে করে চৌকি নিয়ে চলেছেন চিকিৎসকরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)