Rudranil Ghosh: 'মেয়র স্বস্তি দিতে পারেন না, গামলা আর হাফপ্যান্ট দেন', শহরে জল-দুর্ভোগ নিয়ে মেয়রকে খোঁচা রুদ্রনীলের
যদিও, পুরসভার তরফে দাবি করা হচ্ছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যেই CESC-র সঙ্গে মিটিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতা: পুজোর ঠিক এক সপ্তাহ আগে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভেসে গেছিল কলকাতা। শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়ে। জমা জলে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান একের পর এক সহ-নাগরিক। কিন্তু পুজোর শেষ লগ্নে ফের ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি। দশমীতে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায়, যখন ফের আশঙ্কার মেঘ দেখছেন শহরবাসী।
আর এ নিয়েই কলকাতা পুরসভার মেয়রকে দুষলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন, 'মেয়র সাহেব আমাদের স্বস্তি উপহার দিতে পারেন না। গামলা আর হাফপ্যান্ট উপহার দেন। কারণ, জল নিকাশি যে যে জায়গা, সেখানে বেআইনি বাড়ি, পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। ১০-১১টা প্রাণ চলে গেছে। তারপর শাসকদল বলছে, মানুষের দেখে বেরনো উচিত। তারা মানুষ ভোলানোর নানা কথা বলছেন।'
যদিও, পুরসভার তরফে দাবি করা হচ্ছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যেই CESC-র সঙ্গে মিটিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, কালকেই CESC-র সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ইন কেস অফ হেবি রেন, বৃষ্টি পরলে, বাইরে যে টেম্পোরারি লাইন দেওয়া, ওগুলোকে যেন বন্ধ করে দেয়। স্ট্রিটলাইন কিছু টেপিং হয়েছে।
মেয়র এও বলেন, এখনও যা অবস্থা বন্ধ হচ্ছে না। ওয়াটার লগিং হলে বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সকাল থেকে অনেকবার ফোন করেছে। মনিটরিং করছেন। বলেছেন রেডি থাকতে।
শুক্রবার, একাদশীতেও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টি হবে। তবে, কিছুটা কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে, উত্তরবঙ্গে কাল থেকে ভারী দুর্যোগ, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিরও সতর্কতা রয়েছে।
একাদশীতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়ায়। শনিবার, অর্থাৎ দ্বাদশীর দিন, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমতে পারে।






















