Saayoni Ghosh News: 'গণতন্ত্রে বাক্স্বাধীনতা থাকলেও যা খুশি বলা যায় না', মহুয়া মৈত্রের সমালোচনায় সায়নী ঘোষ
Saayoni Ghosh On Mohua Maitra: গণতন্ত্রে বাক্স্বাধীনতা থাকলেও যা খুশি বলা যায় না', দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: 'গণতন্ত্রে বাক্স্বাধীনতা থাকলেও যা খুশি বলা যায় না', দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী (All India Trinamul Youth Congress) সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তাঁর মতে,'আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে।'
কী বললেন সায়নী?
কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের যে মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের তুফান, তার থেকে এর মধ্যেই দূরত্ব বাড়িয়ে টুইট করেছে তৃণমূল। জানিয়েছে, 'মহুয়ার মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত মত। দল কোনও ভাবেই ওই মন্তব্য সমর্থন করে না।' সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এহেন মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছে বলেও টুইটে জানায় শাসকদল। এদিন দলের সেই সুর টেনেই সায়নী বলেন, 'আইন আইনের পথে চলবে। আমাদের দলের এক সাংসদ একটি মন্তব্য করেছেন, বিরোধী দলনেতা আর এক মন্তব্য করেছেন। এবার কোর্টে যা হওয়ার হবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে বিবৃতি দিয়ে দিয়েছে। এর উপর আমার কিছু বলার যোগ্যতা নেই।' তবে এর পরে তাঁর সংযোজন, 'গণতন্ত্রে যেমন বাক্স্বাধীনতা রয়েছে, সৃজনশীলতা রয়েছে, তেমনই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এতে যেন কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করি।'
অতীতে 'কাঠগড়ায়' সায়নীও
রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য মনে করাচ্ছেন, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর সায়নীর বিরুদ্ধেও এক সময় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। গত বছরের গোড়ার দিকে মেঘালয় ও ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন। রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। নেপথ্যে বছর পাঁচেক আগেকার একটি বিতর্কিত টুইট। অভিযোগ ছিল ওই টুইট করেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন তৃণমূল যুবনেত্রী। যদিও সায়নী জানান, যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি নজরে আসতেই টুইটটি তিনি মুছে দেন। তাতে অবশ্য তরজা থামেনি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবারও মহুয়ার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক এত দ্রুত স্তিমিত হওয়ার নয়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এর মধ্যেই টুইটারে পাল্টা লেখেন, 'মা কালী হিন্দুদের কাছে যুগ যুগ ধরে অশুভ শক্তির বিনাশকারী শক্তির প্রতীক রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। মহুয়া মৈত্রর মা কালী সম্পর্কে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।' কটাক্ষ ধেয়ে আসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিক থেকেও।
কিন্তু এদিনের পর অনেকের প্রশ্ন, সায়নীর মন্তব্য কি তৃণমূলেরই অস্বস্তি বাড়াবে না?
আরও পড়ুন:বেলাগাম ভোজ্য তেল, লিটারে অন্তত ১০ টাকা দাম কমাতে বলল কেন্দ্র