Saigal Hossain: অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
Cow Smuggling Case: ১৫ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ। আজ সকাল ১০টা নাগাদ আসানসোল জেল থেকে সিবিআই আদালতে আনা হয় সায়গলকে।
কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। ১৫ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ। আজ সকাল ১০টা নাগাদ আসানসোল জেল থেকে সিবিআই আদালতে আনা হয় সায়গলকে। এক প্রবীণ আইনজীবীর মৃত্যু হওয়ায় আজ আদালতে কর্মবিরতি চলায়, কোনও শুনানি হয়নি। সায়গলকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর, আসানসোল জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একই জেলে রয়েছেন তাঁর এক সময়ের দেহরক্ষী ও গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনও। মঙ্গলবার দুজনকেই জেরা করে সিবিআই। সূত্রের খবর, প্রথমে সায়গলকে একটি ঘরে ডেকে প্রশ্ন করেন CBI অফিসার।
এর আগে আদালতে জমা দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে, CBI-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, সায়গল হোসেন গরু পাচারকারীদের থেকে টাকা নিতেন। তাঁকে টাকা দেওয়া হত, কারণ সায়গল হোসেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী ছিলেন। টাকা নেওয়ার হাত সায়গল হোসেন হলেও, টাকা যেত অনুব্রত মণ্ডলের নামে।
আরও পড়ুন, ‘ব্যাপক হবে ভোট’, জেলে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের ভাবনা অনুব্রতর?
সূত্রের খবর, সায়গলের থেকে জানতে চাওয়া হয় গরু পাচারের টাকা কীভাবে লেনদেন হত? পাচারকারীদের সঙ্গে ফোনে তিনি কী কথাবার্তা বলতেন? এদিন সায়গলের পর অনুব্রতকেও জেরা করে CBI। সূত্রের দাবি, মূলত বেনামি সম্পত্তির উৎসের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর সঙ্গে গরু পাচারকারীদের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না?
যদিও, সব প্রশ্নের উত্তরই অনুব্রত কার্যত এড়িয়ে গেছেন বলে CBI সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।