Sandhya Mukhopadhyay Demise: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গলা নকল করে গান গাইতেন মা, সেই কিংবদন্তিকে চেনা
সুন্দরবনে শো ছিল। সবে মঞ্চে উঠবেন সঙ্গীতশিল্পী। তার আগেই হঠাৎ দুঃবাদ। প্রয়াত কিংবদন্তী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। খবরটা শুনেই প্রথম মায়ের কথা মনে পড়ে গেল সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Surajit Chatterjee)।
কলকাতা: সুন্দরবনে শো ছিল। সবে মঞ্চে উঠবেন সঙ্গীতশিল্পী। তার আগেই হঠাৎ দুঃবাদ। প্রয়াত কিংবদন্তী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। খবরটা শুনেই প্রথম মায়ের কথা মনে পড়ে গেল সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Surajit Chatterjee)। ছোটবেলায় রান্না করতে করতে মা একের পর এক গাইতেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান।
আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandha Mukherjee)। তাঁকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সঙ্গীতশিল্পী সুরজিৎ বলছেন, 'গতকাল খবরটা যখন পেলাম, প্রথমেই মায়ের কথা মনে হল। ছোটবেলায় রান্না করতে করতে মা একের পর এক গাইতেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। এমনকি তিনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গলা নকল করারও চেষ্টা করতেন। সেইসব শুনে শুনেই আমরা বড় হয়েছি। গীতশ্রীর গোটা জীবনটা গান নিয়েই কেটে গেল। তবে কেবল গান বা অধ্যাবসায় নয়, শেখবার ছিল ওঁর জীবনযাত্রাও। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে উনি যে কথা বলতেন, তা সবার থেকে আলাদা। আমাদের আগের প্রজন্মের এই মানুষগুলো হারিয়ে গেল।'
রুপোলি পর্দায় স্বপ্নের তুলিতে রামধনু আঁকত তাঁর গান, তাঁর সুর। কিংবদন্তি শিল্পী কিন্তু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখছিলেন ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁ সাহেবের কাছ থেকে। সব ধরণের সঙ্গীতেই ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে যেন রঙ হারাল সুরের জগৎ। এবিপি আনন্দর অনুষ্ঠানে এসে সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিলেন সঙ্গীতশিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায় (Raghav Chatterjee)।
আরও পড়ুন: কলকাতায় মায়ের শৈশবের বন্ধু, বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে রানি মুখোপাধ্যায় যা বললেন...
বাড়ি থেকে বেশি বেরতেন না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandha Mukherjee)। কথা হত ফোনে ফোনে। রাঘব বলছেন, 'আমার আর সন্ধ্যাদির মধ্যে যোগসূত্র ছিল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় খেয়াল, ঠুংরি, দাদরা থেকে শুরু করে ছবির গান, সবকিছুকেই নিজের মতো করে গেয়েছেন। এত মিষ্টি গলা আর এত বৈচিত্র্য ওনার মতো মানুষের পক্ষেই সম্ভব। সমস্ত গানকে অনুভব করে গাইতেন উনি। আমার সঙ্গে মূলত রাগ রাগিনী নিয়ে কথা হত। উনি আমায় শোনাতেন কী কী বন্দিশ উনি শুনেছেন। ওনার কথা আমার কাছে বেদবাক্যের মত ছিল। উনি ফোন করে বলতেন, তুই এই রাগটা জানো? কী কী রাগের কী কী বন্দিশ জানো আমায় শোনাও। দিদি ফোন করলেই আমি হাতে সময় নিয়ে, হারমোনিয়াম নিয়ে বসতাম। যে কোনও সময় উনি গান শুনতে চাইবেন। ওনাকে দিদি বলতাম কিন্তু আমার মায়ের থেকেও বড় ছিলেন উনি।'