![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Jibankrishna Saha: নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই ধৃত শিক্ষক-বিধায়ক! বেতন বন্ধ করল স্কুল
Recruitment Scam:বিষয়টি জেলার স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
![Jibankrishna Saha: নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই ধৃত শিক্ষক-বিধায়ক! বেতন বন্ধ করল স্কুল school authorities stopped the salary of arrested TMC MLA and school teacher Jibankrishna Saha, recruitment scam Jibankrishna Saha: নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই ধৃত শিক্ষক-বিধায়ক! বেতন বন্ধ করল স্কুল](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/04/28/4ad9b9f676b5ad4597c31c90099cb0c01682682725574385_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদ: এবার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের (TMC mla) বেতন বন্ধ করে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও বীরভূমের নানুরে দেবগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, 'বিধায়ক হওয়ার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাননি জীবনকৃষ্ণ। স্কুলের বেতন ও বিধায়ক ভাতা নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে স্কুলে আসেননি জীবনকৃষ্ণ, অথচ নিয়মিত স্কুলের বেতন নিয়েছেন।' বিষয়টি জেলার স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
কয়েকদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। স্কুলে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।
দেবগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, 'জীবনকৃষ্ণ সাহা যে দিন গ্রেফতার হয়েছে সেই দিন থেকে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা স্কুল কতৃপক্ষ এআই এবং ডিআই কে লিখিত জানানো হয়েছে। কারণ বেতন কত পাবে তা স্কুল কর্তৃপক্ষ হিসাব করে দিলেও এআই এবং ডিআই এর অনুমোদন ছাড়া বেতন পান না। গত ছ-মাসের বেশি সময় ধরে মাসে এক দিন বা সেটাও আসতেন না। কিন্তু বেতন নিয়েছেন। উনি বিধায়ক হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি। এমনকি লিয়েনের জন্য কোনও আবেদন উনি জমা করেননি। তার জন্য ওঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারিনি।)
স্কুলে অনিয়মিত ছিলেন জীবনকৃষ্ণ:
বীরভূমের দেবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলার শিক্ষক ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। স্কুলে অনিয়মিত উপস্থিতি ছিল শিক্ষক-বিধায়কের। এমনটাই দাবি স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্যদের একাংশ। ২০১৪-র ২০ অগাস্ট এই স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান জীবন। সূত্রের খবর, স্কুলে উপস্থিতি ছিল অনিয়মিত। আসতেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। ২০২১ সালে বিধায়ক হওয়ার পর তাঁর উপস্থিতি আরও কমেছিল। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে এসেছিলেন। তাও, মেরেকেটে দু-একবার। স্কুলে অনিয়মিত। অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন নিয়মিত। তবে সিবিআই সূত্রে দাবি, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণর যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ এখনও অবধি মিলেছে, তা স্কুল শিক্ষকের মাইনেতে কী করে সম্ভব, সে এক রহস্য়।
তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশির সময় ফোন ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ ছিল সিবিআইয়ের। তারপর দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুকুর তল্লাশি করে ওই দুটি ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ উঠেছিল আদালতে শুনানির সময়েও।
আরও পড়ুন: লাগবে না এসি, ফ্যানের সঙ্গে কীভাবে বরফ রাখলে ঠান্ডা হয় ঘর, জানুন সেই পদ্ধতি
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)