Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত স্কুল পরিদর্শকরাও! বাবার স্কুলে ছেলের চাকরির ঘটনায় বিস্ফোরক বিচারপতি
আদালতের আরও নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে সিআইডি। তদন্তের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকে হেফাজতে নিতে পারবে CID।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: 'জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই ধরনের দুর্নীতি হতে পারে না। একজন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন'। জেলা স্কুল পরিদর্শকরা না জানলে কীভাবে এটা সম্ভব? বাবার স্কুলে ছেলের চাকরি পাওয়ার ঘটনায় এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলায় আদালতের নির্দেশ ডিআইজি-সিআইডি-র নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত করবে সিআইডি। বর্তমান জেলা স্কুল পরিদর্শক FIR দায়ের করবেন। এ প্রসঙ্গে আদালতের আরও নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে সিআইডি। তদন্তের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকে হেফাজতে নিতে পারবে CID। পাশাপাশি আদালতের তরফে এও বলা হয়েছে, 'স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না অনিমেষ তেওয়ারি। কোনও বেতন পাবেন না অনিমেষ। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
অন্যের সুপারিশ ও নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে ছেলের চাকরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোথা এ আর হাইস্কুলে শিক্ষক পদে কর্মরত বাবা ও ছেলে! স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলেকে সাহায্যর অভিযোগ ওঠে। একজনের সুপারিশপত্র, আরেকজনের নিয়োগপত্র জাল করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এই মামলায় ডিআইজি-সিআইডিকে তলব করে হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির আবহেই, এই ঘটনা সামনে আশায় হতবাক খোদ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। অন্যের সুপারিশপত্র ও নিয়োগপত্র নকল করে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে, তদন্তের জন্য DIG CID-কেও ডেকেছেন তিনি। মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার গোথা এ আর হাইস্কুল। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি।
একই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষকতাঁর ছেলে, অনিমেষ তিওয়ারি। অভিযোগ, অন্যের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র জাল করে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন তিনি। স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এই বিষয়টি সামনে এসেছে। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে,মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, ওই স্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নয়, চাকরির সুপারিশ গেছিল আতাউর রহমানের নামে। কিন্তু তাঁর মেমো নম্বর নকল করে নিজের নামে সুপারিশপত্র বানিয়েছিলেন অনিমেষ । শুধু তাই নয়,অরবিন্দ মাইতি নামে অন্যের নিয়োগপত্রও নকল করেছেন তিনি ।
একথা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন - এরকম আর কত হয়েছে? প্রধান শিক্ষক জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করছেন তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী? অন্যদিকে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬-র SLST-তে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছে CBI. তাই এই ঘটনাটিরও তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই। কিন্তু তাতে সম্মতি না দিয়ে, DIG CID-কে তলব করেন বিচারপতি। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার DIG, CID এসে জানাবেন এই ঘটনার তদন্ত করবেন কি না।