Singur News: বিজেপি ধর্না তোলার পরই সিঙ্গুর বাজারে কৃষকদের কাছে মমতার উপদেষ্টা
Singur News: সিঙ্গুরের কৃষকদের পাশে পেতে সম্প্রতি সেখানে তিন দিন ব্যাপী ধর্নায় বসে বিজেপি। তার পরেই নিজের উপদেষ্টাকে সিঙ্গুরের বাজারে পাঠালেন মমতা।
সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: দিল্লির ন্যায় আন্দোলনের (Farmers’ Protest) ডাক দিয়ে সিঙ্গুরের (Singur) কৃষকদের পাশে পেতে চাইছে বিজেপি (BJP)। এমন পরিস্থিতিতে একেবারে কৃষকদের দুয়ারে গিয়ে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার (Pradip Majumdar)। ধানের ন্যায্য দাম মিলছে কি না, কোথায় কী অসুবিধা রয়েছে, তা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
শুক্রবার সকালে আচমকাই সিঙ্গুরের তাপসী মালিক বাজারে হাজির হন প্রদীপ। সেখানে সরাসরি মান্ডিতে গিয়ে ধান বেচাকেনাস্থলে হাজির হন। কথা বলে জানানে, ১ হাজার ৯৪০ টাকা দরে ধান বিকোচ্ছে। এ ছাড়াও আলাদা করে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রদীপ। ফসলের দামে তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, বিক্রি করতে গিয়ে কী কী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তা জানতে চান।
জবাবে তাঁর কাছে যাবতীয় অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেন কৃষকরা। জানান, প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজির বেশি ধান (Paddy Seeds) বাদ দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই যেমন ইচ্ছা ধান বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের কিছু বলার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। উপায় নেই বলে, তা মেনে নিতে হচ্ছে তাঁদের।
মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে আসা স্থানীয় কৃষক গৌরচন্দ্র কোলে জানান, এ বছর লাগাতার বৃষ্টিতে এমনিতেই ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার উপর ধান বাদ দেওয়ায়, তার দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। তার উপর ময়েশ্চার মিটারও ব্যবহার করা হচ্ছে না।
প্রদীপ জানান, কারখানার মালিকদের ১০০ কেজি ধানে ৬৮ কেজি ফেরত দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে ধানে ময়েশ্চার মিটার ১৭ শতাংশ পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়েছে। তাই ময়েশ্চার বেশি থাকলে কিছুটা ধান বাদ দিতে হয়। তবে কৃষকদের আশ্বস্ত করতেও দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: ৭ বছরের শিশুকে নিয়ে বাজারে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ২ মহিলা !
সিঙ্গুরের কৃষকদের পাশে পেতে সম্প্রতি সেখানে তিন দিন ব্যাপী ধর্নায় বসে বিজেপি। দলের রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মতো গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতাদের সেই ধর্নামঞ্চে দেখা যায়। কৃষকদের দাবি-দাওয়া পূরণে মমতাত সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। আন্দোলন নিয়ে নবান্নে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। কিন্তু সে ভাবে সাডা় ফেলতে পারেনি বিজেপি-র এই ধর্না। স্থানীয়রা যেমন আগ্রহ দেখাননি, তেমনই দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের তরফেও তেমন সাড়া মেলেনি। তাতে তৃণমূলের (TMC) তরফে কটাক্ষও শুনতে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে।