(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Purba Medinipur:সিপিএমকে ভোট দেওয়ায় পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ শেখ সুফিয়ানের জামাইয়ের বিরুদ্ধে
CPM:সিপিএমকে ভোট দেওয়ায়, পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুলের বিরুদ্ধে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: সিপিএমকে ভোট দেওয়ায়, পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুলের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাবিবুল। এনিয়ে বিডিওর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কী অভিযোগ?
নন্দীগ্রামের ডিওয়াইএফআই সম্পাদক ইবদুল হোসেনের অভিযোগ, 'সিপিএম সমর্থকদের দেখে দেখে পাইপ কেটেছে।' এর প্রতিবাদে সোমবার, হাতে জলের বালতি নিয়ে, রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে
অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা ও পূ্র্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের জামাইয়ের দিকে। একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির সমর্থন নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান হয়েছেন শেখ সুফিয়ানের জামাই হাবিবুল রহমান। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। ঠিক কী অভিযোগ? নন্দীগ্রামের ডিওয়াইএফআই সম্পাদক ইবদুল হোসেনের কথায়, 'এই জায়গাটা স্কুল কর্তৃপক্ষের নয়, এই জায়গাটা ব্যক্তিগত। তাঁদের সঙ্গে মৌখিক চুক্তি ছিল যে আমরা এখানে কল বসাতে দেব, তার বিনিময়ে ঘরে ঘরে জলের পাইপ টানব। কিন্তু নির্বাচনের পর এই বিজেপি সমর্থিত প্রধান মনে করেছেন এখানকার ভোট সিপিএমের বক্সে পড়েছে, এখানকার যাঁরা সিপিএম করে তার সঙ্গে যাঁরা সিপিএমকে ভোটও দেয়নি, তাঁদের জলের পাইপটা কেটে দেওয়া হয়েছে।' যদিও বিজেপির তমলুক সাংগঠিনক জেলার অশোক করনের বক্তব্য, গোটা অভিযোগটাই ভ্রান্ত। নন্দীগ্রাম ১-এর বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত ফোন ধরেননি। অফিসে গিয়েও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। তবে এদিনের অশান্তি অবরোধ মেটে প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর। তাও পুলিশের মধ্যস্থতায়।
অত্যাচারের অভিযোগ ...
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরে বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ আগেও উঠেছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। যেমন, ভোট গণনা শুরুর আগে উত্তর ২৪ পরগনায় এক সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। আমডাঙার চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৭ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলে হইচই পড়ে যায়। গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। বস্তুত, ভোটের দিন থেকেই আমডাঙার চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের শশীপুর গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে। তার পর গণনার দিনের ঘটনা। চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী কুতুবউদ্দিন আমডাঙার গণনাকেন্দ্র সাধনপুর উল্টোডাঙা তুলসীরাম হাই স্কুলে যাওয়ার সময়, গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকে তাঁকে তৃণমূল সমর্থকরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। আমডাঙার থানার আইসিকেও জানানো হয়েছিল বিষয়টি। তবে প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:গলার নলিকাটা অবস্থায় মুম্বইয়ে উদ্ধার বিমানসেবিকার দেহ, ধৃত হাউজিংয়ের ঝাড়ুদার