South 24 Pargana: নরেন্দ্রপুরে দুঃসাহসিক চুরি, খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ
South 24 Pargana News: নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত দিয়ারা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ গত শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের ব্যবসা দেখভালের জন্য কলকাতায় চলে যান আরতি রায় ও তাঁর স্বামী সুরজিৎ রায়।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়িতে ছিলেন না কেউই। এই সুযোগে ঘরে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও খোয়া গিয়েছে নগদ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur)। নরেন্দ্রপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল?
স্থানীয় সূত্র খবর, নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত দিয়ারা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ গত শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের ব্যবসা দেখভালের জন্য কলকাতায় চলে যান আরতি রায় ও তাঁর স্বামী সুরজিৎ রায়। সঙ্গে ছিল তাঁদের একমাত্র মেয়েও। ফলে বাড়ি পুরো ফাঁকাই ছিল। কলকাতা থেকে সোমবার রাত ১০টা নাগাদ সেই ব্যবসায়ী দম্পতি বাড়ি ফিরে দেখেন যে তাঁদের ঘরের মূল দরজার তালা ভাঙা। তড়িঘড়ি ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখতে পান আলমারি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আলমারির লকারে রাখা সোনার গহনা ও টাকা সব উধাও। পাশেই থাকা শাপল, ছেনি ও দা দিয়েই আলমারি ভাঙা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে যে টাকা ও গয়না খোয়া গিয়েছে, তা মেয়ের বিয়ের জন্যই রেখে দিয়েছিলেন রায় দম্পতি। এদিনই নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গয়নার দোকানে শাটার ভেঙে চুরি
কিছুদিন আগেই এলাকার একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে জুয়েলারি দোকানের শাটার কেটে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল সিঙ্গুরের মির্জাপুর -বাঁকিপুর এলাকায়। যদিও একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে। দোকান মালিকের দাবি, মধ্যরাত প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে ৪ থেকে ৫ জনের দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দোকানে। অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় একের পর এক চুরি ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দোকান মালিকের দেওয়া সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চার পাঁচ জনের দুষ্কৃতী ভারী কিছু জিনিস দিয়ে রাস্তার ধারে একটি দোকানের শাটার ভাঙার চেষ্টা করছে। প্রায় দেড় ঘন্টার অপারেশনে দোকানের শাটার কেটে কাঁচ ভেঙে শোকেস থেকে বিভিন্ন গহনা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাড়ির সঙ্গেই দোকান সিঙ্গুরের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা চরণ হালদারের। পরের দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান ব্যবসায়ী।