South 24 Paragana News: জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গঙ্গাসাগর মেলা, তার আগে জেলা প্রশাসনের 'মাথাব্যথা' মুড়িগঙ্গা নদীর চর !
Gangasagar Fair 2024 : দুয়ারে গঙ্গাসাগর মেলা, তাই তার আগে তড়িঘড়ি সমস্যা মেটাতে, শুক্রবার থেকেই অতিরিক্ত পলি কাটার যন্ত্র বসানো হয়েছে।
গৌতম মণ্ডল, কাকদ্বীপ : জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীর চর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে তৈরি হয়েছে নতুন চর। এই অবস্থায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। কিন্তু, তার আগে এই চরই এখন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে ! কারণ, মেলার প্রস্তুতিতে বড়সড় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। চর-এর কারণে প্রতিদিন ব্যাহত হচ্ছে ভেসেল চলাচল। এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার সেচ ও সুন্দরবন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক।
দুয়ারে গঙ্গাসাগর মেলা, তাই তার আগে তড়িঘড়ি সমস্যা মেটাতে, শুক্রবার থেকেই অতিরিক্ত পলি কাটার যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "আমাদের সমস্ত কিছু শেষ। যাতে পুণ্যার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য যা যা করণীয় সেচ দফতর পুরোটাই করবে। প্রশাসন পুরোটাই করবে।"
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, "২০১৬-'১৭ সালে একটা জাহাজ ডুবেছিল। কিন্তু, সেই জাহাজটা তোলা হয়নি। ফলে, স্বাভাবিকভাবে সেই জায়গাটা ওরকম হয়ে রয়েছে। তবে, তাতে এমন কোনও সমস্যা দেখা দেবে না। অতিরিক্ত ড্রেজার ২৫ তারিখের মধ্যে আসছে।"
মকর সংক্রান্তির দিন প্রতিবছরই গোটা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন এই গঙ্গাসাগর মেলায়। তাঁদের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা এই কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদী। দীর্ঘদিন ধরেই এই নদীতে পলি জমতে থাকায় ভাটার সময় যাত্রী পারাপারের ভেসেল বন্ধ রাখতে হয়। মেলা শুরুর মাত্র দিন কুড়ি আগেও গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ভেসেল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে, প্রতিদিন চরম হয়রান হতে হচ্ছে সাগরের বাসিন্দা থেকে তীর্থযাত্রীদের। আগে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে নদীর পলি কাটা শেষ করার কথা থাকলেও এখন, অনিশ্চতায় তৈরি হয়েছে।
ভেসেল কর্মী সৌমেন মাইতি বলেন, "এই যে চর জমে যাচ্ছে, আমরা একটা লেভেলে চালিয়ে আসছি, হঠাৎ রাতে একটা চরে লেগে বসে গেল। যাত্রীরাও যেমন ভোগান্তিতে পড়বেন, আমরাও তেমনই ভোগান্তিতে পড়ব। সেই জোয়ার পড়লে ভাসলে ছাড়বে। ওই জাহাজটা যাতে তুলে নেওয়া যায় তার জন্য আবারও অনুরোধ করব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে।"
এখন সাগরমেলার আগে, এই সমস্য়া কাটিয়ে ওঠায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।