South 24 Pargaans News: ওষুধের দামে বড়সড় 'ছাড়' খুঁজছেন ? জানেন কি এই 'ফাঁদের' কথা !
Fake Medicine Kakdwip Farmacy Businessman Protest : ক্রেতাদের কী কী সতর্কবার্তা ?

গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জাল ও ভেজাল ওষুধ নিয়ে এবার পথে নামলেন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিষ্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
আজ সকালে কাকদ্বীপের বাজার এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার ও মিছিল করেন সদস্যরা। হাতে ছিল সচেতনতার নানান প্ল্যাকার্ড, ব্যানার। মিছিল কাকদ্বীপ বাজার পরিক্রমা করে। বক্তারা অতিরিক্ত ছাড়ের ফাঁদে পা না দিতে ক্রেতাদের সতর্ক করেন। মিছিল শেষে কাকদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে পথসভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদসভা থেকে আটটি দাবিকে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও কাকদ্বীপের প্রতিটি ওষুধ ব্যবসায়ীকে নকল ও জাল ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ নেই তো? শনিবার পুরসভার অধিবেশনে জানতে চাইলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। পুরসভার কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। কাউন্সিলরের প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে যান কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। সেখান থেকে মেলে ওষুধও।
কিন্তু পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ নেই তো? অথবা পুরসভার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে কীভাবে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা হয়? শনিবার তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এই প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-ই। দলের কাউন্সিলরের তরফ থেকে এহেন প্রশ্ন ওঠায়, উত্তর দেন ডেপুটি মেয়র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। তিনি জানিয়ে দেন,কলকাতা পুরসভার কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলারের মাধ্যমে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। তারা দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ওষুধ নেওয়া হয়। তাই গুণগত মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া ওষুধের ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না।
কলকাতা পুরসভা ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, ৫ মিনিট ২০ সেকেন্ড থেকে প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে নজরদারি চালায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু পুরসভা নজরদারি করলে ভাল হয়। কোনও অঘটন ঘটলে পুরসভা দায় এড়াতে পারে না। একটা পর্যবেক্ষণ হওয়া উচিত। কলকাতা পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগ ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, ওষুধ কীভাবে কেনা হয় এবং বিশ্বরূপ নতুন কাউন্সিলর নিয়ম জানেন না। সময় বাঁচাতে আজকাল অনেকেই অনলাইনে ওষুধ কেনেন। তবে অনলাইনে যে ওষুধ কিনছেন তার গুণগত মান ঠিক আছে তো? অনলাইনে আপনার কেনা ওষুধ জাল নয়তো?
আরও পড়ুন, গঙ্গায় নেমে স্নান ৩ যুবকের, আচমকাই এল জোয়ার, মর্মান্তিক ঘটনা হাওড়ায় !
সম্প্রতি হাওড়ার এক ব্যক্তির অভিযোগে তদন্তে নামে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। দেখা যায়, নামী সংস্থার হার্টের জাল ওষুধ উদ্ধার হয়েছে আগরপাড়া, টিটাগড় ও নাগেরবাজারে। চিহ্নিত করা হয়েছে জাল ওষুধের ২ হোলসেলারকে।তদন্তে দেখা গেছে এই সব ওষুধ এসেছিল উত্তরপ্রদেশের এক হোলসেলারের থেকে। তবে কোন রাজ্যে, কারা এই জাল ওষুধ প্রস্তুত করেছিল এখনও তার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে ভিন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। জিপিটি হেলথকেয়ার লিমিটেড সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবাশিস ধর বলেন, ওষুধের ব্র্যান্ড কীভাবে চিহ্নিত করা হয় অংশটা।চিকিৎসক সিদ্ধার্থ গুপ্তা বলেন, জাল ওষুধ রুখতে সরকারি নজরদারির অংশটা। এর আগে আমতা থেকে জাল ওষুধ চক্রের একজন হোলসেলার গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই তদন্ত CID-র হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
